নিজস্ব প্রতিবদেক | নরসিংদী প্রতিদিন –
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯: গাজীপুরের টঙ্গীতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা। সোমবার সকাল ১১টায় শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রসঙ্গত, টঙ্গীতে শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে সরকারি নির্দেশনা না মেনে হাসপাতালের নাগালের মধ্যেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগোনষ্টিক সেন্টার। এসমস্ত প্রাইভেট হাসপাতালের দালালদের মাধ্যমে রোগী পাঠানো ও ঔষধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের নির্দেশনা মোতাবেক ঔষধ লিখে মোটা অংকের কমিশন হাতিয়ে নেয়াই যেন হাসপাতালের ডাক্তারদের মূল পেশাগত দায়িত্ব হয়ে দাড়িয়েছে। এতে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে প্রতিনিয়িত বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে দিন দিন সাধারণ রোগীদের মাঝে বাড়ছে ক্ষোভ ও হতাশা।
গত শুক্রবার সকালে রোগীদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি আবদুল আলিম এগিয়ে গিয়ে ডাক্তারের রুম থেকে বেরিয়ে আসা একজন মহিলা দালালের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে ডা, সৈয়দা তানজিনা আফরিন ইভা তার কক্ষ থেকে জুতা হাতে নিয়ে বাইরে এসে সেচ্ছায় সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ করেন ও জুতা হাতে মারার জন্য তেড়ে আসেন ঘটনাটি শুনে সময়ের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি মহিন উদ্দিন রিপন ঘটনাটি জানার জন্য এগিয়ে গেলে ডা, ইভা তার উপর চড়াও হয়ে বকাঝকা করতে থাকে। এসময় তার এমন আচরণ দেখে সাংবাদিক রিপন ও আলীম বাইরে চলে আসে এবং সকলকে বিষয়টি অবহিত করে। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর অন্যান্য পত্রিকার কয়েকজন সাংবাদিক তার কাছ থেকে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি পুনরায় উত্তেজিত হয়ে যান, তিনি বলেন ‘সাংবাদিকরা ক্রিমিনিয়াল এরা বাথ্রুম টয়লেটে ও চলে যায়’ এসময় তিনি দাম্ভিকতার সাথে উচ্চ কন্ঠে আওয়াজ তুলে বারবার বলেন, ‘আই হেট জার্নালিষ্ট’।
শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সী মেডিকেল অফিসার ডা, সৈয়দা তানজিনা আফরিন ইভার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয় যার কিছু ছবি ও ভিডিও ফেইজবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইমার্জেন্সী মেডিকেল অফিসার ডা, সৈয়দা তানজিনা আফরিন ইভা সিনিয়র সাংবাদিক মহিউদ্দিন রিপন (দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার টঙ্গী প্রতিনিধি) ও সাংবাদিক আব্দুল আলিম (চ্যানেল এস) এর বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক সংবাদ পত্রিকার টঙ্গী প্রতিনিধি বীরমুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ সহিদুল ইসলাম (সাধারণ সম্পাদক গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাব), মিয়া, দেওয়ান রফিকুল ইসলাম মাখন (দৈনিক জনতা ), মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী ( সম্পাদক মেঘনা নিউজ ২৪ ডট কম), এম এ আকরাম (সদস্য বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম),হাসান মামুন (দৈনিক আজকের জনতা) মোঃ আওলাদ হোসেন (সভাপতি টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাব), তুহিন সারোয়ার (চেয়ারম্যান চ্যানেল সিক্স), মোরশেদ আলম খোকন (বিজয় টিভি), ফরিদ আহমেদ নয়ন ও ফকরুল ইসলাম ফাহিম (এশিয়ান টেলিভিশন), মোঃ আনোয়ার মাষ্টার (দৈনিক করতোয়া), অমল চন্দ্র ঘোষ (দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার), মোঃ আল-আমিন (প্রথম আলো), রেজাউল কবির রাজিব (দৈনিক যায় যায় দিন), মোঃ মিরাজ শিকদার ও মোছাঃ শামিমা খানম (আনন্দ টেলিভিশন), মোঃ মাসুদ সরকার ( চ্যানেল ফোর), মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম (দৈনিক স্বাধীন সংবাদ),জাকির হোসেন (দৈনিক ভোরের পাতা), মোঃ সবুজ মিয়া (দৈনিক তৃতীয় মাত্রা), শেখ রাজীব হাসান (দৈনিক সকালের সময়, ঢাকা টেলিভিশন), সুজন সারোয়ার (দৈনিক বর্তমান), মোঃ হানিফ হোসেন ও মোঃ জাহাঙ্গীর আকন্দ (দৈনিক নওরোজ), মোছাঃ তাসলিমা আক্তার (দৈনিক মুক্ত খবর), মোঃ বশির আলম মাল (দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ), মোঃ রায়হান আলী (দৈনিক বাংলার ডাক ও জেটিভি), মোঃ আল-আমিন (দৈনিক ভোরের কন্ঠ), মোঃ মনসুর শেখ (দৈনিক অপরাধ বার্তা), মাহাবুব জিলানী (দৈনিক সরেজমিন), শাহাজালাল (বাংলা টিভি একাত্তর), মোঃ জলিল ব্যাপারী (অপরাধ বিচিত্রা), মোঃ রাজু আহমেদ (দৈনিক একুশে সংবাদ), মোঃ আরিফ (নতুন সময় টেলিভিশন), মোঃ রাজিব হোসেন (দৈনিক ঢাকার ডাক), মোঃ সজীব হোসেন (দৈনিক একুশের বাণী), মোঃ মোস্তফা (সচিত্র ঘটনা),সাপ্তাহিক মহানগর বার্তার টঙ্গী প্রতিনিধি মোঃ লিটন মিয়া, সোনালী বার্তার টঙ্গী প্রতিনিধি জাকির হোসেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, পুলিশ তদন্ত ছাড়া মামলা নিয়েছে কেন। মামলার খবর পেয়ে সাংবাদিকরা উল্টা মামলা দিতে গেলে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কামাল হোসেন রহস্যজনক ভাবে মামলাটি নেননি। সাংবাদিক এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান টঙ্গী ও গাজীপুরের সাংবাদিক নেতারা।
ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে সমাজের সর্বস্থরের মানুষের অংশ গ্রহন ছিল লক্ষনীয়।