আন্তর্জাতিক ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন –
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯:
ফিলিপাইনে ক্রিসমাস পার্টিতে নারকেলের তাড়ি বা মদপানে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিন শতাধিকের বেশি মানুষ। সোমবার দেশটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানী ম্যানিলার দক্ষিণের দুটি প্রদেশ, লাগুনা ও কেজোনে এ ঘটনা ঘটে। যারা ক্রিসমাস পার্টিতে নারকেলের তাড়ি বা মদ খেয়েছেন মৃতরা তাদেরই সদস্য ছিল।
লেগুনার রিজালে মেয়র ভেনার মুনোজের জানিয়েছে, মদপানের ঘটনায় বৃহস্পতিবার ও রোববারের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া অনেকে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, মৃতরা সবাই লাম্বানোগ নামের স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় একটি তাড়ি পান করেছিলেন। দেশটিতে ছুটির দিন ও উৎসবগুলোতে এ পানীয়টির ব্যবহার ব্যাপক। জন্মদিনের উৎসব ও অবসরের পানীয় হিসেবে কিছু লোক এটি কিনেছিল। অন্যদের বড় দিন উপলক্ষে স্থানীয় কর্মকর্তারা পানীয়টি দান করেছিল।
দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে নারকেলের তাড়ি বা মদপানে অসুস্থদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় মৃতদের সংখ্যা আরও বাড়াতে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া এর প্রকৃতি কারণ জানার জন্য অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ফিলিপাইনে নিয়ন্ত্রিত লাম্বানগের উৎপাদিত মদ যদিও বিক্রয় প্রচলিত ছিল কিন্তু অনেকেই এটি সংযোজনকারীদের সঙ্গে অবৈধভাবে তৈরি করে থাকে। এ কারণে দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এর আগে অ্যাডেটিভদের এর ব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিল। এমনকি বিপজ্জনক বলেও দাবি করেছেন। উৎসব-উদযাপন ছাড়াও ছুটির দিনগুলোতেও লোকজন এর স্বাদ নেয়। তবে সেখানে এটি তৈরিতে কর্তৃপক্ষের তেমন নিয়ন্ত্রণ নেই। এমনকি অবৈধভাবে তৈরির পর এর সঙ্গে মিথানলের মতো বিপজ্জনক উপাদান মেশানোরও রেকর্ড রয়েছে দেশটিতে।
২০১৮ সালেও ফিলিপাইনে এ তাড়ি পান করে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহামারি-সংক্রান্ত বিভাগ রয়টার্সকে জানিয়েছে, এবারের ঘটনায়ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের সবার নারিকেলের তাড়ি খাওয়ার রেকর্ড ছিল।
জন্মদিন ও অবসর উদযাপনের জন্য কিছু লোক ওই পানীয় কিনেছিল। পরে তারা বড়দিন উপলক্ষে অন্যদেরও এটি দান করে দেয়। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া একজন জানিয়েছেন, তিনি যে তাড়ি খেয়েছিলেন সেটি তার নিজ শহরেই উৎপাদন করা হয়েছিল।