নরসিংদীতে বেশ কয়েকটি প্রাচীন সভ্যতা ও জমিদার বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে ঘোড়াশাল জমিদার বাড়ির নাম ও রয়েছে। জমিদার বাড়ি নিয়ে অনেক লোক কাহিনী মানুষের মুখে শোনা যায়। জমিদার বাড়ির সামনে দিয়ে জুতা পায়ে ও ছাতা উড়িয়ে যাওয়া এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা ও ছিল। পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর শহরের প্রানকেন্দ্রে মিয়া পাড়া গ্রামে গড়ে উঠেছে অপরুপ সৌন্দর্যে ঘেরা এই জমিদার বাড়িটি। সঠিক নামটি হলো ঘোড়াশাল জমিদার বাড়ি। এই বাড়িটি স্থানীয়রা মনু মিয়ার বাড়ি নামেই বেশি চিনে। বাড়িটির ভিতরের প্রাকৃতিক পরিবেশ এখনো মানুষের নজরকাড়ে। জমিদার বাড়ির মূল ফটক পেরিয়ে প্রবেশ করলে প্রথমেই বা পাশে চোখে পড়বে একটি মসজিদ। তার সামনেই রয়েছে দৃষ্টিনন্দন প্রথম ভবনটি। যার বয়স প্রায় ২৫০ বছর বলে জানা যায়। এবং এর নির্মানের এসময় ১১৭৬ বঙ্গাব্দ। বাম পাশে রয়েছে দ্বিতীয় ভবনটি। যার সৌন্দর্য যে কাউকে আকৃষ্ট করবে। চা পান, বিশ্রামাগার ও আড্ডা দেওয়ার জন্য রয়েছে একটি স্থাপনা। এই জমিদার বাড়িটি প্রায় ১০ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে। এ বাড়ির বাহিরে থেকে বুঝার কোন উপায় নেই যে ভিতরে এতো সুন্দর স্থান রয়েছে। নরসিংদী যে কয়টি জমিদার বাড়ি রয়েছে তার মধ্যে এই জমিদার বাড়ির অন্যতম। নরসিংদীর অন্যান্য জমিদার বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তার আসল রুপ ও সৌন্দর্যের ঘাটতি থাকলেও ঘোড়াশাল জমিদার বাড়ি তার ব্যতিক্রমী। যা দেখলেই বুঝা যায়। রক্ষণাবেক্ষণের কারণে তার আসল রুপ ও সৌন্দর্য এতো বছর পরেও ধরে রেখেছে। এখানে ৩টি জমিদার বাড়ি রয়েছে। মাওলানা আব্দুল কবিরের বাড়ি, নাজমুল হাসানের বাড়ি ও মনু মিয়ার বাড়ি। এই বাড়ির খোলামেলা পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মনভুলানো আলিশান ভাবে সান বাঁধানো পুকুর ঘাট ও বসার জন্য সুন্দর স্থান রয়েছে এখানে। চাইলে আপনিও অনুমতি সাপেক্ষে ঘুরে যেতে পারেন ঘোড়াশাল জমিদার বাড়ি থেকে।