ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন-
রোববার,২৯ ডিসেম্বর ২০১৯: সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ে‘র (উরু) ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ায় দুবছরের বেশি সময় ধরে গুরুতর আহতাবস্থায় ধুকছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের জহিদ হাসানের ছেলে জাহিদ হোসেন। গরীব বাবা-মা'র পক্ষে চিকিৎসার খরচ জোগানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে তার চিকিৎসা করতে করতে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তবু সন্তানকে বাঁচাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করছেন জাহিদের মা ফাতেমা খাতুন।
জাহিদের মা ফাতেমা খাতুন বলেন, বছর দুয়েক আগে জাহিদের রোজগারে সংসার চলতো। তবে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আবাদেরহাটে এক সড়ক দুর্ঘটনায় জাহিদের পায়ের (উরু) হাড় ভেঙে যায়। অর্থ অভাবে ছেলেকে সেসময় সুচিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। সড়ক দুর্ঘটনায় জাহিদের ডান পায়ের উরুতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়। টুকটাক চিকিৎসা করালেও ক্ষতটি শুকিয়ে যায়নি বরং ভাঙা হাড়গুলো ক্ষত দিয়ে বের হতে থাকে। অর্থাভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে না পারাই জাহিদ পঙ্গু হয়ে যায়! তবে জাহিদ আগে লাঠি ভর দিয়ে চলতে পারলেও বর্তমানে চলাফেরা করতে পারে না। জাহিদের ক্ষতস্থান দিয়ে ভাঙা হাড়ের টুকরা বের হতে থাকে। উপায়ান্তর না পেয়ে জাহিদকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।’
ডাক্তাররা বলেছেন 'এখন যদি অপারেশন করা না হয় তাহলে জাহিদের ক্ষতস্থানে ইনফেকশন সৃষ্টি হয়ে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'
জাহিদের অপারেশনের জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, ডাক্তাররা জাহিদের অপারেশনের জন্যে ৬টা স্ক্রু ও একটা রড কেনার কথা জানিয়েছেন। এক একটা স্ক্রু ৩ হাজার টাকা করে নিবে। জাহিদকে সুস্থ্য করে তুলতে বহু টাকা প্রয়োজন। আমরাতো নিজ বাসভূমি ছেড়ে দু-মুঠো ভাতের জন্যে রাইচ মিলে কাজ করে খাই। যেখানে দু-মুঠো ভাত সেভাবে খেতে পারিনা সেখানে এতো টাকা কোথায় পাবো বাপ! একারণে ভিক্ষাবৃত্তি ভালোনা জেনেও একমাত্র ছেলেকে বাচাঁতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করছি। ছেলেকে কেমনে বাঁচাবো! বাপজানগো আজ ভিক্ষা করতে না গেলে, কাল আমার পোলা না খেয়ে মরবে। যে ছেলে মুখে ভাত তুলে দিতো, সে ছেলে আজ হাসপাতালে।
সবার হাত-পা ধরে ছেলেকে বাঁচানোর নিরন্তর চেষ্টা করছি জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের কত বিত্তবান ব্যক্তি আছেন যারা এমন ক্ষেত্রে অহরহ খরচ করে চলেছেন গরীব ও দুঃস্থদের পিছনে। তাই একটু বিনীত আবেদন আমার এই অসহায়ত্ব জীবনে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আমার সন্তানকে বাঁচাতে আপনারা এগিয়ে আসুন। সমাজের হৃদয়বান মানুষের কাছে ছেলেকে সুস্থ করার জন্যে সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেছেন তিনি।
সমাজের হৃদয়বান মানুষেরা জাহিদের চিকিৎসাসেবায় সহযোগিতা করতে তার মা ফাতেমা খাতুনের নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন- ০১৪০৭১৮৫৯০২। সাহায্য পাঠানোর জন্য (বিকাশ/নগদ) ০১৭১৯৫৮০০৫৯।