ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন –
বৃহস্পতিবার,০২ জানুয়ারী ২০১৯:
দেশের একমাত্র বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থ যত্র তত্র ফেলে রাখায় ভয়াভহ স্বাস্থ ঝুকিতে পড়েছে এলাকাবাসী। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিগত কয়েকবার বন্দরে ভয়াভহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া মালামালের বর্জ্য বন্দরের অভ্যন্তরে সংরক্ষিত করা হয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে আপাতত আর্বজনা সরানো সম্ভব না বলে তারা জানান।
সরেজমিনে জানা গেছে, দেশে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত যে কাঁচামাল কেমিক্যাল ভারত থেকে আমদানি হয়ে থাকে তার ৭০ শতাংশ বেনাপোল বন্দর দিয়ে হয়। এসব পণ্যের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অ্যাসিড, রাসায়নিক দ্রব্য ও কেমিক্যাল জাতীয় পাউডার ও বিস্ফোরক দ্রব্য রয়েছে। কিছু কিছু রাসায়নিক পণ্য এতো বিপদজনক যে ট্রাকে বা গোডাউনে থাকা অবস্থায় তেজস্ক্রিয় হয়ে আগুন ধরে যায়। গত তিন বছরে বেনাপোল বন্দরে এ ধরনের ছোট বড় চারটি অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর ওই সব কেমিক্যালের বর্জ্য নিরাপদ কোনো জায়গায় না সরিয়ে বছরের পর বছর বন্দরের জনবসতি এলাকায় ও বন্দর অভ্যন্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।
ভুক্তভোগী বন্দর এলাকার বাসিন্দারা জানান, বন্দরের বর্জ্যের কারণে বিভিন্নভাবে তারা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া বন্দরের মধ্যে থেকে অ্যাসিড মিশ্রিত পানি প্রবেশ করছে জনবসতি এলাকায়। এতে তাদের চলাচল ও বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। গত ২০ বছর ধরে ভুক্তভোগী মানুষ বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে এর থেকে পরিত্রাণের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল বন্দরের আমদানিকারক মফিজুর রহমান সজন জানান, বন্দরের ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু সেখানে সব সময় পণ্য থাকে প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন। এতে জায়গা না পেয়ে মূল্যবান সামগ্রী খোলা আকাশের নিচে রাখতে হয়। ফলে পণ্যের গুণগতমান নষ্ট হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, আমদানিকৃত ভারতীয় কেমিক্যাল পণ্যে আগুন ধরে এ বর্জ্যের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত যাতে এসব বর্জ্য নিষ্কাশন করা যায় এজন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।