স্পোর্টস ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন- সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২০:
১৪টা সেলাই নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে পারলেন না ম্যাশ। ঢাকার ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৭ উইকেটে হেরে বিদায় নিল ঢাকা।
ঢাকা দেয়া ১৪৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে সহজেই জয় তুলে নেয় মাহমুদউল্লাহর চট্টগ্রাম। গেইলের সঙ্গে ওপেন করে এসে ঝড় তোলের জিয়াউর রহমান। ছোট ক্যামিও খেলে বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার। বিদায়ের আগে করে ১২ বলে ২৫ রান। এদিন গেইল ছিলো নিষ্প্রভ। তিনি ৪৯ বলে ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
তার বিদায়ের আগে দলীয় ৯১ রানে ঝড় তুলে ফেরেন ইমরুল কায়েস। তিনি করেন ২২ বলে ৩২ রান। শেষ করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও ওয়ালটন। রিয়াদের ১৪ বলে ৩৪ ও ওয়ালটনের ১০ বলে ১২ রানের সুবাদে জয়ের বন্দরে পৌঁছে চট্টগ্রাম। ফলে বিদায় নেয় এবারের আসরের ফেবারিট দল ঢাকা প্লাটুন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকার মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম। হাতে ১৪টি সেলাই নিয়ে টস করতে নামেন ঢাকা কাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে তাদের ব্যাটিংয়ে সেই অনুপ্রেরণা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
টস হেরে ঢাকার শুরুটা ছিল বাজে। ২৮ রানে হারায় ৩ উইকেট। যদিও ক্রিজ আঁকড়ে ছিলেন মুমিনুল হক। মাঝপথেও কেউ হাল ধরতে পারেননি। তবে শেষদিকে আপ্রাণ চেষ্টা করলেন শাদাব খান ও থিসারা পেরেরা। তাতে মাঝারি স্কোর পেল ঢাকা প্লাটুন। রুবেল হোসেনের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে নাসুম আহমেদের শিকার হয়ে দ্রুত ফেরেন এনামুল হক বিজয়। কিছুক্ষণ পরই মাহমুদউল্লাহর শিকার লুইস রিসে।
দলীয় ২৮ রানে টপঅর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যান হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। সেখানে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি মিডলঅর্ডাররা। নিয়মিত বিরতিতে যাওয়া-আসা করেন তারা। তাদের বিষাক্ত ছোবল মারেন রায়াদ এমরিত। একে একে মেহেদী হাসান, জাকের আলি ও মুমিনুল হককে ফিরিয়ে দেন তিনি। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন এ ক্যারিবিয়ান।যদিও তা শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
ঢাকার প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন মুমিনুল। সমান ৩১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। খানিক দম নিয়ে নাসুমের কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আসিফ আলি। এতে মাত্র ৬০ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় ঢাকা।
এ অবস্থায় থিসারা পেরেরাকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন শাদাব খান। ধীরে ধীরে এগিয়ে যান তারা। একপর্যায়ে জমে ওঠে তাদের জুটি। স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটাতে শুরু করেন দুজনই। তাতে সম্মানজনক স্কোরের পথে হাঁটে দলটি। কিন্তু হঠাৎ রুবেলের বলে পথচ্যুত হন পেরেরা। ১৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ রানের ঝড়ো ক্যামিও খেলে ফেরত আসেন তিনি। শাহাব খান ৪১ বলে ৩ ছয় ও ৫ চারে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন।