নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন –
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২০:
ভোলার মেঘনা নদীতে অপহরণের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুদের ছোড়া গুলিতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ অভিযানে চার জলদস্যুকে আটক করেছে।
আটককৃত জলদস্যুরা হলো- লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরলক্ষী গ্রামের জামাল উদ্দিনের পুত্র মো. শামীম (৩০), একইগ্রামের ওয়ারেছ মিয়ার পুত্র মো. ওসমান (২৫), চরগজারিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র সোহেল (২৮) ও চরআবজাল গ্রামের আবুল কালামের পুত্র দিদার উদ্দিন (২৮)।
ভোলার চর জহিরউদ্দিন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের চৌকস ইনচার্জ মো. ফিরোজ কবির জানান, বুধবার ভোরে মেঘনার চর জহিরউদ্দিন এলাকায় জলদস্যুরা জেলেদের অপহরণে চেষ্টা চালাচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একদল পুলিশ নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন জলদস্যুরা। তাদের ছোড়া গুলিতে নদীতে মাছ ধরারত তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন।
তিনি আরও জানান, ঘন্টাব্যাপী গোলাগুলির পর পুলিশ সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় নদীর চারিদিক থেকে ইঞ্জিনচালিত কয়েকটি ট্রলার দিয়ে ঘিরে জলদস্যুবাহী একটি ট্রলার আটক করে। এ সময় ওই ট্রলার থেকে চার জলদস্যুকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে বেশকিছু গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আটককৃতরা জানিয়েছেন তাদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র নদীতে ফেলে দিয়েছে। একইসময় জলদস্যুবাহী আরও একটি ট্রলার দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
জলদস্যুদের গুলিতে আহত তিন জেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। পাশাপাশি চার জলদস্যুর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এরআগে গত ১৩ জানুয়ারি দিবাগত রাতে ভোলার মেঘনা নদী থেকে অপহরণের ২৪ ঘন্টা পর দুই জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ডের সদ্যসা। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে এক দস্যুকে।