নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের নব্য সম্রাট, প্রথাবিরোধী লেখক সাইফ সুমনের নতুন উপন্যাস "পরকীয়ানামা:কামনাগিনী উপাখ্যান "প্রকাশের আগেই পাঠক মহলে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। বইটির প্রচ্ছদে "Only Adults 18+" গাঢ় হরফে লেখাটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।আসন্ন বইমেলায় রিমদ প্রকাশন থেকে বইটি প্রকাশের অপেক্ষায়।বইটির প্রকাশক মো: গফুর হোসেন। বইটির প্রচ্ছদ ও ভূমিকা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশের পর সাধারণ নারী,পুরুষের মাঝে ভালো,মন্দ মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমান সমাজের চরম অবক্ষয়ের অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে পরকিয়া;এই পরকিয়া বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। লেখক বইটিতে নিদির্ষট কিছু নারী চরিত্রকে বিষাক্ত নাগিনির সাথে তুলনা করেছেন।
পরকীয়াসক্ত নারী-পুরুষের বিবাহবহির্ভূত অবাধ যৌনাচার,বহুগামিতা,বিবাহবিচ্ছেদ
পক্ষান্তরে একটি নিদির্ষট নারী মহল বইটিতে নারীবাদকে কটাক্ষ করা হয়েছে বলে লেখকের কড়া সমালোচনা করেছেন। উপন্যাসটির ভূমিকার কিছু অংশ পাঠক পাঠিকাদের জন্য তুলে ধরা হলো-
"যোনির বিনিময়ে জমি
যোনির বিনিময়ে জব
যোনি নিয়ে জুয়া……..!"
শিশ্নের বিনিময়ে এসব মেলে কি?
একজন পুরুষ হিসাবে আমি চাইলেই কি যে কাউকে উপপত্নী বানাতে পারি?আপনি কি চাইলেই কাউকে অন্তর্বর্তীকালীন স্ত্রী কিংবা প্রেমিকা বানাতে পারেন?যে কাউকে দাঁড় করাতে পারেন কিংবা শোয়াতে পারেন!আপনি নগ্ন হলে দশ দিক থেকে দশ উপপত্নী আপনার শিশ্ন চুষবে???
শিশ্ন দিয়ে কেবল নারী ধর্ষণ করা যায়!
আর,অতলস্পর্শ মহাযোনি দিয়ে নর থেকে শুরু করে
নদী,পাহাড়,বিলাসবহুল গাড়ী,বিশ্ববিদ্যালয়,ব্যাংক,অর্থ
আদালত,সিনেমা,সংবাদপত্র,
টেলিভিশন,কবিতা— সবকিছু ধর্ষিত হতে দেখেছি,দেখছি এখনও! এমনকি এই মহাযোনির ৭০ কিংবা ৭০শ নয়,৭০লক্ষ শিশ্নকে ধর্ষণ করার সমশক্তি আছে!!!"
পরকিয়া আক্রান্ত নারী আর বেশ্যার মধ্যে পার্থক্য কতটুকু? পার্থক্য কেবল মুদ্রার এপিট আর ওপিট তবে পরকিয়া আসক্ত নারী হচ্ছে মুদ্রার নোংরাতর পিট। পরকিয়া আসক্ত নারী তথা কামমোহিনী,কামদেবী,কামললনা,কা
আজকাল পরকিয়ার বাজারে সহজেই মিলছে
যোনির বিনিময়ে জমি,যোনির বিনিময়ে জব ;
যোনি নিয়ে জুয়া হরহামেশাই হচ্ছে আপনার আমার চারপাশে। কামের সূত্র,মৌলিকত্ব ও মাত্রাগত দিক দিয়ে পরকীয়া বিষে আক্রান্ত নারী আর বেশ্যার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।পার্থক্য কেবল সামাজিক মর্যাদা ও আভিজাত্যে! ক্ষতি,অপরাধ ও পাপ বিবেচনায় যৌক্তিকভাবেই পরকীয়াসক্ত বহুগামী নারী একজন বেশ্যার চেয়েও নিকৃষ্টতর।বেশ্যা যেমন বহুগামী,পরকীয়াসক্ত নারীও বহুগামী এবং বহু লিঙ্গের স্বাদ গ্রাহক ও ভোক্তা।বেশ্যা যেমন ভিন্ন ভিন্ন জাত,ধর্ম,বয়সের খদ্দেরের সাদা,কালো,চিকন,মোটা- সকল প্রকার লিঙ্গ চুষতে অভ্যস্ত, পরকীয়াসক্ত আধুনিক বেশ্যারাও এ কাজে চৌকস ও সিদ্ধহস্ত। পরকীয়াসক্ত নারী নামের কামনাগিনীগুলো অভিনব কামশিল্পে যতটা দক্ষ ও সফল ;তারা প্রেমিকা,স্ত্রী কিম্বা মা হিসাবে পরিবার ও সমাজে ততটাই ব্যর্থ,নিগৃহীত।সভ্যতার পরিক্রমায় যুগযুগ ধরে গড়ে ওঠা আত্মিক,আধ্যাত্মিক,পারিবারিক ও ধর্মীয় বন্ধনগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার পথকে সুগম করছে নারী নামের পাপীয়সী রতিদেবী আর বিকৃত রুচিসম্পন্ন কিছু কামাসক্ত পুরুষবেশ্যার সৃষ্ট পরকিয়া নামক অভিশপ্ত এ ভয়াল নেশা।
ধর্ম,সমাজ,রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কে অধিকতর ক্ষতিকর ও নিকৃষ্টতর- পরকীয়াসক্ত নারী নাকি বেশ্যালয়ের বেশ্যা?
পরকীয়ায় আসক্ত একজন নারী পরিবার,সমাজ,রাষ্ট্র তথা ধর্মের জন্য একজন বেশ্যার চেয়েও হাজার হাজার গুণ ক্ষতিকর ও ধ্বংসাত্মক।কারণ,বেশ্যারা অর্থের বিনিময়ে দেহ বিক্রি করে,কাস্টমারদের মনোরঞ্জন দেয়,তাদের যৌনাকাঙ্ক্ষা পূরণ করে;তারা কারো সাথে প্রতারণা কিম্বা বৈমানী করে না।বেশ্যাদের জন্য কোন নিষ্পাপ শিশুকে খুন হতে হয় না,আগুনে দগ্ধ হতে হয় না;বেশ্যাদের জন্য কোন নিরপরাধ পুরুষকে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিতে হয় না,কোন বেশ্যার কারণে ভালবাসার মানুষটিকে হারিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে অভিশপ্ত জীবন কাটাতে হয় না কোন প্রেমিককে।বরং পরকীয়াসক্ত পাপীয়সী কামনাগিনির ভয়াল বিষাক্ত ছোবলে ক্ষতবিক্ষত,নিশ্চিহ্ন হচ্ছে আজকের পরিবার,সমাজ,সভ্যতা।কেবল এই পরকীয়ার জন্য প্রেম,ভালবাসা,মায়া,মানবতাবাদ,নৈ
এসকল কামমোহিনী আধুনিক বেশ্যাদের কাছে বয়স,জাত,ধর্ম,বর্ণের কোন ভেদাভেদ নেই;বিত্তশালী আর লিঙ্গধর পুরুষ হলেই চলে!স্বার্থ আর ভোগের নেশায় এসকল কামমোহিনী কামদেবীরা কামতান্ত্রিক পুরুষের লিঙ্গমুণ্ডর পূজা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কামনাগিনীদের দল যোনিচর্চার নেশায় ভুলে যায় নিষ্পাপ ভালবাসার মানুষের পবিত্র মুখখানি,ভুলে যায় স্বামীর সোহাগ,ভালোবাসা,ভুলে যায় সব শপথ আর ধর্মীয় বিধিবিধান,তারা ভুলে যায় দশ মাস গর্ভে ধারণ করা নিজের নিষ্পাপ বাচ্চার পবিত্র মুখের পবিত্র হাসি।
লেখক সাইফ সুমন জানান, "পরকীয়ানামা:কামনাগিনী উপাখ্যান "- শুধু একটি উপন্যাস নয় ;পরকিয়াসক্ত কামতান্ত্রিকদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ সামাজিক আন্দোলনের শক্তিশালী ভিত্তি হিসাবে ইতিহাসে স্থান করে নেবে । উপন্যাসটি শুধু পাঠক মহলেই নয় বরং মুখোশধারী পরকীয়াসক্ত কামমোহিনীদের স্বার্থান্ধ অন্তরেও আগুন জ্বালাবে ইনশাল্লাহ। উপন্যাস তথা এই সামাজিক আন্দোলনের ভবিষ্যত সফলতার চাবিকাঠি আপনার মতো দায়িত্বশীল একজন সুনাগরিকের হাতে।পরকিয়া নামক নেশা ও পাপাচারের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাক সত্যিকারের ভালবাসা,পরিবার,সমাজ,সভ্যতা তথা সুন্দর এই পৃথিবী।
লেখক সাইফ সুমন বইটি পরকীয়ার কারণে আত্মবলিদানকারী ও নিহত সকল পুরুষ,নারী(!!!) এবং নিষ্পাপ শিশুদের উদ্দেশ্যে বইটি উৎসর্গ করেছেন।