খন্দকার শাহিন | নরসিংদী প্রতিদিন –
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ :
নরসিংদীর শিল্পাঞ্চল মাধবদীতে পরিবেশ দূষণের দায়ে দুটি শিল্পকারখানাকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত। অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত কারখানা দুটি হলো- নুরালাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বিরামপুরের আমেনা টেক্সটাইল অ্যান্ড সাইজিং মিল ও আলগী ইসলামাবাদ এলাকার জুয়েল সাইজিং মিল।
গত (২৩ ডিসেম্বর) নরসিংদী জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে এ জরিমানা করা হয়। কিন্তু প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুনরায় মিলের বয়লারে ব্যবহার করছে কাপড়ের জুট। এতে প্রচুর পরিমাণে বিশাক্ত কালো ধোঁয়া নির্গত হয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়াই যেন কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে তারা আক্রান্ত হচ্ছে।
স্থানীয় ভুক্তভোগিরা জানান, মিলের ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে গিয়ে এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। মনে হয় এলাকায় যেন অগ্নিকাণ্ড ঘটছে বা সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। এভাবেই ২৪ঘণ্টা বের হয় কালো বিশাক্ত ধোঁয়া। মিলের কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণের কারণে সাইজিং মিলের বয়লারে কাপড়ের জুট, কাট কেরসিন ব্যবহারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু মিল মালিকরা প্রভাবশালি হওয়ায় তারা মানছে না কোন নিয়ম কানুন। জরিমানা দিয়েও তোয়াক্কা করছেনা প্রশাসনকে।
এ বিষয়ে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহ আলম জানান, গত সপ্তাহে মাধবদীতে নুরালাপুর ইউনিয়নের আমেনা টেক্সটাইল অ্যান্ড সাইজিং মিল ও জুয়েল টেক্সটাইল অ্যান্ড সাইজিং মিলে গ্যাস ও ডিজেলের পরিবর্তে কাপড়ের জুট পুড়িয়ে বয়লার চালানো হচ্ছিল। এ সময় পৃথকভাবে দুটি কারখানাকে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পরে অভিযুক্ত সাইজিং মিল দুটি আর্থিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন। এর মাঝে একটি মিলের মালিক এক মাসের সময় চেয়ে ডিসি অফিসে আবেদন জমা দিয়েছে। কিন্তু মিলের কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ ধূষণ হচ্ছে বলে ঐ আবেদনটি বিবেচনায় রয়েছে।