সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন
মোঃ মোখলেছুর রহমান। নরসিংদী প্রতিদিন –
মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০:
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ীর পুকুরপাড় এলাকায় পৈতৃকসম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখলের অভিযোগ উঠেছে ভগ্নীপতির বিরুদ্ধে। জমির মালিক লায়লা বেগম এর ভগ্নীপতি তানভীর হোসেন (৩৫) কোনাবাড়ী বাইমাইল কাদের মার্কেট এলাকার আব্দুল হাই মালদারের ছেলে ও তার সহযোগী নুরুল ইসলাম( ৫০) কোনাবাড়ী বিসিক শিল্প নগরী এলাকার মৃত আরজ আলীর ছেলে। এই ঘটনায় কোনাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, লায়লা বেগম গত ১৫ বছর ধরে ওই জমির উপর দোকান ও বাসা বাড়ী করে ভোগ দখল করছে। গত কয়েকদিন আগে ওই জমিতে ঘরবাড়ী সংস্কার করতে গেলে বাধা দেয় তানভীর হোসেন ও তার লোকজন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় মিরপুর মৌজার সাবেক ৩৫৫ হালে ৭৭৫ নং দাগে ১০( দশ) শতাংশের কাতে ২.৫ শতাংশ জমি লায়লা বেগম তার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত হয়। লায়লা বেগম গত ১৫ বছর যাবৎ ওই জমিতে দোকান ও বাসা বাড়ী করে ভোগ দখলে ছিলো।
এমতাবস্থায় তার বড় ভগ্নীপতি তানভীর হোসেন এবং তার সহযোগী নুরুল ইসলামসহ কিছু ভূমিদস্যুরা দীর্ঘদিন ধরে জমি দখলের পায়তারা করছে ।
গত ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং লায়লাকে না জানিয়ে তার নির্মাণকৃত বাসাবাড়ী ও দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় তানভীর হোসেন ও নূরুল ইসলামের লোকজন।
পরে লায়লা বেগম বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই কোনাবাড়ী থানায় তানভীর হোসেন ও তার সহযোগীদের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগ করার পর থেকে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তানভীর হোসেন ও তারা সহযোগীরা। পরে তাদের পরিবারকে হত্যা গুম খুনসহ নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
ওই জমির উপর নির্মাণ কাজ করার জন্য গত কয়েকদিন আগে ঠিকাদার আব্দুর রহিমকে কাজ দেয় লায়লা বেগমের স্বামী জাহিদুল ইসলাম জুয়েল সরকার।
আব্দুর রহিম মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারি জমির উপর নির্মাণ কাজ করতে গেলে নুরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা তাকে কাজ বন্ধ করতে বলে এবং পরবর্তীতে কাজ করলে তার হাত পা ভেঙ্গ দিবে বলে হুমকি দেয়। সে কোন উপায় না দেখে কাজ বন্ধ করে চলে আসে।
পূর্বের জের ধরে তানভীর হোসেন ও নুরুল ইসলামের লোকজন ঠিকাদার আব্দুর রহিমকে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে রাত ১০ টার সময় একা পেয়ে কিলঘুষি মেরে শরীরে লীলা ফুলা যখম করে। এতেই ক্ষ্যান্ত হয়নি ওই সময় তারা তাকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং ডানের হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলে চলে যায়।
পরে জনৈক রিক্সা চালক তাকে প্রথমে কোনাবাড়ী সেন্ট্রাল হসপিটালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতী হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহিদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এবিষয়ে লায়লা বেগমের স্বামী জানান,আমি স্ত্রী সন্তান নিয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করি। যার ফলে ঠিকাদার আব্দুর রহিমকে বাড়ী নির্মাণকাজ ও দেখা শুনার দায়িত্ব দেয়। বিবাদীরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে আসছে। তিনি আরো জানান, বিবাদীরা বিভিন্ন ভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বর্তমানে আমি স্ত্রী সন্তান নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছি।
এবিষয়ে তানভীর হোসেন জানান, জমিটি নিয়ে আগে বিরোধ ছিলো। এখন কোন বিরোধ নাই। ঠিকাদারকে মারার বিষয়ে তিনি অবহিত নন বলে জানান।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেন জানান,এবিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
