নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন –
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ : মাধবদীতে নিজের প্রথম সংসারের মেয়ের সাথে অভিসারের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে আব্দুল জলিল আহমেদ মিলন (৪০) নামে এক লম্পট পিতা। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটায় মিলনের পরিবারের লোকজনকে সাথে নিয়ে তার স্ত্রী ময়না বেগম মাধবদী বাজার ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন খনমর্দী এলাকার টিটুর বাড়ি থেকে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক কর হয়। পরে মুঠোফোনে নরসিংদী প্রতিদিনকে জানান আড়াইহাজার উপজেলার শাহ-আলম নামে এক যুবক।
মিলনের দ্বিতীয় স্ত্রী ময়না বেগম নরসিংদী প্রতিদিনকে জানান, আড়াইহাজারের মধ্যারচর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মিলনের সাথে মোবাইল ফোনে সম্পর্কের সূত্র ধরে ২০০৮ সালে তাদের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে ১০ বছরের একটি মেয়ে ও ৩ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পূর্বে মিলন নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করলেও পরবর্তীতে তার আগের সংসারে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে আছে বলে তিনি জানতে পারেন।
২০১৮ সালে দ্বিতীয় স্ত্রীর সম্মতিতে মিলন তার মেয়ে স্বর্ণা আক্তার সাবিহা (১৯) কে বাড়িতে নিয়ে আসে। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর থেকেই মিলন ও সাবিহা সন্দেহজনক আচরণ করতে থাকে। মিলন কয়েক দফা সাবিহাকে নানীর বাড়ি নিয়ে যাওয়া ও ডাক্তার দেখানোর কথা বলে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন জায়গায় সপ্তাহব্যাপী বেড়িয়ে আসে। দিনদিন তাদের গোপন অভিসার ক্রমেই বাড়িতে থাকলে ময়না বেগম এতে প্রতিবাদ করেন। এরপর থেকে তার উপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়্গ। সম্প্রতি মিলন সাবিহাকে নিয়ে আবারও উধাও হয়। তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছিলোনা। অবশেষে শুক্রবার মাধবদীর খনমর্দী এলাকায় এসে টিটুদের বাড়িতে মিলনের হোন্ডা দেখে এখানে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় ময়না বেগম। পরে মিলনের বাড়ির লোকজনদের বিষয়টি জানালে তারা সহ সাথে এসে শনিবার সকালে মিলনকে হাতেনাতে আটক। তবে এঘটনায় পুলিশ আসলেও রহস্যজনক কারনে তাদেরকে আটক করেনি।
এদিকে মিলন-সাবিহাকে আটকের পর স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তাদেরকে একনজর দেখতে অনেকেই ছুটে এসে প্রচন্ড ক্ষোভ ঝাড়েন।
তবে এব্যাপারে মোটেও অনুতপ্ত নয় মিলন। সাংবাদিকরা এখবর সংগ্রহ করতে গেলে সে তাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে বলে "আমি আমার মেয়ের সাথে যা খুশি তাই করব তোরা পারলে উল্টাইস।
মাধবদী থানার এসআই দীদার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। তবে উভয় পক্ষ আলোচনা করে পারিবারিকভাবে বিষয়টি মিমাংসা করবে বলে তাদের আটক করা হয়নি।