শেখ মানিক | নরসিংদী প্রতিদিন –
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ :
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বান্দারদিয়া কলাগাছিয়া নদীরপাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃক সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ রিগেশন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জমির মালিকের সাথে চুক্তি করে দুই স্থানে দুটি সেলোমেশিনের ২০ ফুট পাইপ স্থাপন করে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেন উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য নেয়ামত আমিন। সরকার চাইলেই যেকোনো সময় যে কারো ভূমি অধিগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা থাকলে ক্ষতিপূরন দিয়ে থাকেন সরকার। সেই ক্ষতিপূরণের টাকা জমি মালিকের পাওয়ার কথা। কিন্ত এখানে ক্ষতিপূরণের টাকা দালালের পকেটে ।
জানা যায়, শিবপুর উপজেলার বান্দারদিয়া গ্রামের আস্তফার জমিতে সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ রিগেশন প্রকল্পের পানি নিস্কাকাশনের জন্য জমি অধিগ্রহন করা হয়। দালাল নেয়ামত আমিন জমি অধিগ্রহনের খবর পেয়ে, অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে দুই স্থানে ২টি সেলোমেশিনের পাইপ ২০ফুট করে স্থাপন করেন।পরে গভীর নলকুপের কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় এই দালালচক্র।টাকা উত্তোলনের পর আস্তফাকে মাত্র ১২ টাকা প্রদান করেন এই দালাল। আরো টাকা চাইলে তিনি জানান অফিসে খরচ হয়ে গেছে আর দেওয়া যাবে না। অন্য জমির মালিক ধানুয়া গ্রামের জায়দুলের কাছ থেকে দালালির টাকায় তিন খন্ডা জমি লিখে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে আস্তফা জানান জমি অধিগ্রহণের সময় নেয়ামত আমিন আমাকে বলেছে এখানে একটি গভীর নলকুপ স্থাপন করে সরকার থেকে মোটা অংকের টাকা আনা যাবে আমাকে অর্ধেক দিবে বাকিটা তারা নিবে। আর যা খরচ হবে তাদের এই মর্মে আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়েছে নেয়ামত টাকা উত্তোলন করে আমাকে মাত্র ১২হাজার টাকা দিয়েছে। আমার জমিতে ছোট বড় ১০/১২টি গাছ ছিল। গাছের ক্ষতিপূরন বাবদ কোন টাকা দেয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একব্যাক্তি জনান এখানে কোন সময় নলকুপ ছিলনা অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করার জন্য অল্প কিছু পাইপ বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাক আত্মসাৎ করেছে নেয়ামত আমিন।
এ বিষয়ে নেয়ামত আমিন জানান, আমি সরকারি বিধি মোতাবেক ক্ষতিপুরনের টাকা উত্তোলন করছি।