বিনোদন ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন –
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ :
বাংলা চলচ্চিত্রের প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্না। আজ মান্নার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী। নায়ক মান্নার মৃত্যুর একযুগ কেটে গেলেও তাকে ভোলেনি বাংলা সিনেমার দর্শকরা। ঢাকাই চলচ্চিত্র ইতিহাসে তার নামটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার হাসি-কান্নার অভিনয়, অ্যাকশন, সংলাপ বলার ধরন সব কিছু মিলেই একটা স্বতন্ত্র স্টাইল তিনি দাঁড় করিয়েছিলেন।
এদিকে, দেশের চলচ্চিত্রে নব্বইয়ের দশকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সুদর্শন নায়ক ছিলেন সালমান শাহ। সালমান শাহকে বলা হতো ঢাকাই ছবির সাফল্যের বরপুত্র। তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়ক। মাত্র কয়েক বছরের ক্যারিয়ারে তিনি অভিনয় করেন ২৭টি ছবিতে। যার অধিকাংশই ছিল ব্যবসা সফল ও জনপ্রিয়। তার জনপ্রিয়তার রেকর্ড আজ পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেননি। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি ছিলেন আন প্যারালাল, মৃত্যুর পরেও হয়ে আছেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়ক। সালমানের অভিনয় স্টাইল, পর্দায় তার সপ্রতিভ উপস্থিতি আর নায়কোচিত ইমেজ আজও অন্য তারকাদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে আছে।
তাহলে প্রশ্ন আসে, কার মৃত্যুর পর বাংলা চলচ্চিত্রের বেশি ক্ষতি সাধন হয়েছে? চিত্রনায়ক মান্না নাকি নায়ক সালমান শাহ’র মৃত্যুতে?
এমন প্রশ্নের উত্তরে মিশা বলেন, সালমান ছিলেন তারকা খচিত নায়ক। কিন্তু মান্না ছিলেন গবেষক। দেশের মানুষ কীভাবে ছবি করলে দেখবে, হলে কেমন ছবি দেখতে দর্শক আসবে এসব গবেষণা করে যিনি ছবিতে অভিনয় করতেন সেটা ছিলেন মান্না। মানুষের পালস বুঝে সিনেমা করতেন। মান্নার জন্য আমার গভীর শ্রদ্ধা। আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, আজকে চলচ্চিত্রের যে বেহাল দশা এটার জন্য অন্তত ফিফটি পার্সেন্ট দায়ী মান্নার মৃত্যু।
এদিকে, খ্যাতিমান পরিচালক মালেক আফসারী বলেন, আমরা মান্নার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারিনি। কখনও পরবোন। কোন ছবিটি চলবে আর ছবি কিভাবে চালাতে হবে সেটি নিয়ে গবেষণা করত মান্না। আজ মান্না নেই চলচ্চিত্রও নেই। মান্না মারা যাওয়ার একযুগ হয়ে গেল। এই ১২ বছর কমপক্ষেও হলে ৪০টি সিনেমা উপহার দিতে পাতো যেগুলো সিনেমা হলে দেখতে দর্শক যেত।