নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন –
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ :
বিদ্যালয়ে স্থায়ী শহিদ মিনার না থাকায় নিজেদের হাতের তৈরি করা কলা গাছের প্রতিকী শহিদ মিনারেই শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেছে পলাশ উপজেলার পূর্ব ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্রে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার ২১শে ফেব্রুয়ারি ভোরে নিজেদের তৈরি করা শহিদ মিনারের বেদীতে তারা পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করে। এর আগে বৃহস্পতিবার সারাদিন বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্রে শিক্ষার্থীরা তৈরি করে এ শহিদ মিনার। ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পূর্ব ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাধব মিত্র জানান, বিদ্যালয়ে স্থায়ী শহিদ মিনার না থাকায় তারা এ পথ বেছে নিয়েছেন। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়নি শহিদ মিনার। তাছাড়া পলাশের অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার না থাকায় এভাবেই তারা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় বলে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধানগণ জানান।
পৌর এলাকার দক্ষিণ পাইকসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ নাজমুল হক জানান, বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার খুবই জরুরী। শহিদ মিনার না থাকায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারে না। কখনো কখনো তারা নিজেরাই বাঁশ ও কলা গাছ দিয়ে শহিদ মিনার তৈরি করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী দিতে আসা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ কোমলমতি শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার মাঈশা, ধ্রুব ভৌমিক, মেহেদী হাসান তামিম ও প্রত্যয় পাল জানায়, বিদ্যালয়ে কোন শহিদ মিনার না থাকায় তারা জাতীয় দিবস গুলোতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারে না। এ জন্যই নিজেরাই কলা গাছ দিয়ে এ শহিদ মিনার বানিয়েছে।
এ ব্যাপারে পলাশ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজা খান ইউসুফজি জানান, পলাশে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থায়ী কোন শহিদ মিনার নেই। সরকারিভাবেও শহিদ মিনার নির্মাণ করার জন্য কোন বরাদ্ধ নেই। তবে আমরা শহিদ মিনার নির্মানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।