আব্বু তুমি মহান অতি
ছিলে অনেক গুণী।
তাইতো তুমি সবার মাঝে
ছিলে মধ্যমনি।
খুব ভোরেতে জাগতে তুমি
পড়তে ফজর নামাজ।
খোদার হুকুম কায়েম করতে
বদলাতে চেয়েছো সমাজ।
ঈদের নামাজ পড়তে যেতে
আমায় সাথে করে।
বাবা-ছেলের ফুটতো হাসি
নতুন পোশাক পরে।
মন খারাপের দিনগুলোতেও
তুমিই ছিলে সাথী,
তোমার ছোঁয়ায় কাটতো মনের
আঁধার কালো রাতি।
যখন যা-ই পেতে চেয়ে পেয়েছি
করোনি তুমি মানা,
তোমার স্নেহেই মেলতো মনে
হাজারো খুশির ডানা ।
বিপদে আপদে আমার তুমি
ছায়া হয়েই ছিলে,
হঠাৎ করেই না বলে আমায়
কোথায় হারিয়ে গেলে!
কথা ছিলো থাকবে পাশে
ছাড়বে না এই হাত।
এসব শুধুই ভাবি বসে
করতে মোনাজাত।
জানাজা পড়ে নিজের হাতে
কবরে রেখেছি তোমায়
ভাবতে গেলে আনমনেতেও
দু’চোখ ভিজে যায়।
বুকটা আমার কষ্টে ফাটে
তোমায় মনে করে।
ইচ্ছে জাগে সব হারিয়েও
তোমায় পেতে ফিরে।
দেখবোনা আর কখনো জানি
তোমার মিষ্টি হাসি
তবুও বলি বাবা তোমায়
অনেক ভালোবাসি।
…
শ্রদ্ধেয় পিতা মরহুম আমিনুল হক চৌধুরীর স্মরণে।
-সরফরাজ নেওয়াজ চৌধুরী-
নরসিংদী প্রতিদিন: