স্পোর্টস ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন –
শুক্রবার ০৬ মার্চ ২০২০:
এমনিতেই ম্যাচটি ঐতিহাসিক। কেননা, বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচ। তাই অধিনায়কের বিদায় ম্যাচে ইতিহাস গড়লেন তামিম ইকবাল খান ও লিটন কুমার দাস।
ওপেনিংয়ের জুটিতে দেশের রেকর্ড পার করে আন্তর্জাতিক রেকর্ডের তালিকায় এই দুই ওপেনার। বিশ্বের ৬ষ্ট (যেকোন উইকেট) জুটি হিসেবে ২৯২ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন এই টাইগার দুই ওপেনার, ওপেনিং জুটি হিসেবে বিশ্বে তৃতীয় স্থানটিও তাদেরই। আর দেশে হয়ে ১৭০ রানের শাহরিয়ার হোসেন ও মেহরাব হোসেনের জুটি ভেঙেছেন ম্যাচের মধ্যভাগেই। সঙ্গে দুই ওপেনারের ঝড়ো জোড়া সেঞ্চুরি। এই জুটির তাণ্ডবে ৩২২ রানের বড় স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৬ মার্চ) দুপুর দেড়টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়। এদিন টসে জিতে বাংলাদেশের বিদায়ী অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তাজকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক শন উইলিয়ামস।
দুই টাইগার ওপেনারের শুরুটা বেশ দারুণ। সময়ের ব্যবধানে তা দুর্দান্ত হয়ে যায়। জিম্বাবুইয়ান বোলারদের ওপর দুই ওপেনার এ মুহূর্তে রীতিমতো চড়াও। লিটন তুলেন নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। আর ঠিক ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরের কাছাকাছি যখন তামিম ইকবাল তখন হানা দেয় বৃষ্টি।
তবে বৃষ্টি হানা দেয়ার আগেই দেশের ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস লিখলেন দুই ওপেনার। ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি ছিল ১৭০ রানের। ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই রেকর্ডটি গড়েছিলেন শাহরিয়ার হোসেন ও মেহরাব হোসেন।
প্রায় দুই ঘণ্টার বৃষ্টি তাণ্ডবের পর যখন সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় শুরু হলো তখন ব্যাটিং তাণ্ডব শুরু করলেন লিটন দাস। লিটনের একেরপর এক বাউন্ডারি ওভার বাউন্ডারিতে দিশেহারা জিম্বাবুয়ান বোলাররা। ডাবল সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ১৩৪ বলে ১৭৬ রান করে কার্ল মুম্বার বলে লংঅনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লিটন।
লিটনের যাওয়ার পরই তাণ্ডব শুরু করেন তামিম ইকবাল। লিটন থাকা অবস্থায় নিজের ১৩তম সেঞ্চুরি তুলেন নেনে মিস্টার খান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তামিমের সঙ্গ দিতে পারলেন না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪ বলে ৩ রানে করে ফিরে গেলে অভিষেক হয় আফিফ হোসেনের। ইনিংসের শেষ বলে আফিফ আউট হলে ১০৯ বলে ১২৮ রানে অপরাজিতই থাকেন তামিম। আফিফ ফিরেছেন ৪ বলে ৭ করেই।
এদিন একাদশে ৪টি পরিবর্তন এসেছে টাইগার একাদশে। আঙুলের চোটের কারণে বাদ পড়েছেন তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিকুর রহীমকেও এই ম্যাচে রাখা হয়নি। তাদের জায়গায় সুযোগ পেয়ে অভিষেক হচ্ছে আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোহাম্মদ নাঈমের। আর দুই পেসার শফিউল ইসলাম ও আল-আমিন হোসেনের জায়গায় মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন খেলবেন।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন
জিম্বাবুয়ে একাদশ: টিনাশে কামুনহুকামওয়ে, রেজিস চাকাভা, শন উইলিয়ামস (অধিনায়ক), ওয়েসলি মাধেভেরে, ব্রেন্ডন টেলর, টিনোটেন্ডা মুতুম্বোজি, রিচমন্ড মুতুম্বামি (উইকেটরক্ষক), সিকান্দার রাজা, ডোনাল্ড তিরিপানো, কার্ল মুম্বা, চার্লটন শুমা।