লালমনিরহাট প্রতিনিধি | নরসিংদী প্রতিদিন –
শনিবার, ৭ই মার্চ ২০২০ :
লালমনিরহাটে খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারী(৪০) নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার(৫ মার্চ) দিনগত রাতে অপহৃতা শিক্ষিকার স্বামী মাহাবুব রহমান মিঠু বাদি হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত শিক্ষকসহ ৪জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারী সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের খোরাগাছ গ্রামের আবুল কাশেম পাটোয়ারীর ছেলে। একই এলাকার উমাপতি হর নারায়ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার উমাপতি হর নারায়ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারী দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যাক্ত করে আসছেন তার সহকর্মী একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা এক সন্তানের জননী রিনা বেগমকে(৩০)। বিষয়টি রিনা বেগম তার স্বামীকে অবগত করলে তাকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু এতেও আচরন সংশোধন না করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাঞ্জুমা আক্তারের সহায়তায় সহকারী শিক্ষিকা রিনা বেগমকে ফিন্নির সাথে চেতনানাশক ঔষধ খাওয়ান খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারী। এতে অসুস্থ হলে তার স্বামী মাহাবুর রহমান মিঠু স্ত্রীকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে চিকিৎসা করান।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাঞ্জুমার নিকট বিচার প্রার্থনা করে কোন সুফল পাননি শিক্ষিকা রিনা বেগমের পরিবার। গত বৃহস্পতিবার(৫ মার্চ) সন্ধ্যায় বিদ্যালয় থেকে ফিরে স্বামী বাজারে অবস্থান করার সুবাদে বাড়িতে একা ছিলেন শিক্ষিকা রিনা বেগম। এ সুযোগে লম্পট শিক্ষক খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারী ওই বাড়িতে গিয়ে পুনরায় চেতনানাশক ঔষধ সেবন করিয়ে শিক্ষিকার বাড়ির স্বর্নালঙ্কার, নগদ পৌনে চার লাখ টাকা ও শিক্ষিকার যাবতীয় কাগজপত্রসহ রিনা বেগমকে নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে বাড়ি ফিরে শিক্ষিকা রিনা বেগমের স্বামী মাহাবুর রহমান মিঠু স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন তার স্ত্রীকে গাড়িতে করে নিয়ে যান শিক্ষক খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারী। অপহরনকারী শিক্ষক সবুজ পাটোয়ারীর বাড়িতে গিয়েও স্ত্রীর সন্ধান না পেয়ে রাতেই সদর থানায় ৪জনকে আসামী করে স্ত্রীকে অপহরনের দায়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন মাহাবুর রহমান মিঠু। শিক্ষিকা রিনা বেগম অপহরণের ২২ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও তার কোন সন্ধান মেলাতে পারেনি পুলিশ। অপর দিকে অভিযুক্ত খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারীও আত্নগোপনে রয়েছেন।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) এরশাদুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত উভয় শিক্ষকের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী বলেন, বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি। তবে কেউ লিখিত ভাবে অবগত করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।