নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০:
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নরসিংদীর প্রধান দুই হাসপাতালকে আইসোলেশন সেন্টার ঘোষণা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে শহরের প্রধান দুই চিকিৎসা কেন্দ্র- ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালসহ সবগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলাদা আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
হাসপাতালগুলো ঘুরে দেখা গেছে, নরসিংদী জেলা হাসপাতালের একটি আলাদা একতলা ভবনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে আইসোলেশন ইউনিট গঠন করা হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওই ইউনিটের তিনটি কক্ষে ৪টি বেড প্রস্তুত করা আছে।
অন্যদিকে,নরসিংদী সদর হাসপাতালের পক্ষ থেকে আগত ব্যক্তিদের কাছে সচেতনতামূলক লিফলেট প্রচার করা হচ্ছে। হাসপাতালের ডায়রিয়া ইউনিটকে আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ভবনটির নিচতলার ওই ইউনিটে একটি কক্ষে ১০টি বেড রয়েছে।
চিকিৎসকরা জানান, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বুধবার বৈঠকে বসেন উর্ধ্বতন চিকিৎসক ও সরকারি কর্মকর্তারা। বৈঠকে জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনকে আহবায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটনকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা পর্যায়ের কমিটি করা হয়েছে।
তারপরই দুটি প্রধান হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের প্রধান করে রেপিড রেসপন্স টিম গঠন করা হয়। এই কমিটির কাজ হল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগীর সন্ধান পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
এছাড়া ১৫ দিন আগে থেকেই প্রতিটি হাসপাতালে অন্তত ৫টি করে বেড নির্দিষ্ট করে আইসোলেশন ইউনিট গঠন করা হয়েছে।
এদিকে সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন জানান, বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনির্মিত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে আইসোলেশন সেন্টার ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে ১০০ শয্যার ব্যবস্থা রাখার সুবিধা আছে। একই সঙ্গে নরসিংদীর প্রধান দুই চিকিৎসা কেন্দ্র জেলা ও সদর হাসপাতালসহ সবগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলাদা আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তবে জেলা ও সদর হাসপাতালসহ কোন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে এখন পর্যন্ত কেউ ভর্তি হননি।
অন্যদিকে, কোয়ারেন্টাইনে থাকা দুজনেরই শরীরেই এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোন উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, এরই মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে মেডিক্যাল কনসালটেন্টসহ সকল চিকিৎসকদের করণীয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে মাস্ক ও গাউনের মত উপকরণ সহযোগিতা পাওয়া না গেলেও স্থানীয়ভাবে সংগ্রহের চেষ্টা করা হবে।
নরসিংদীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।