নিজস্ব প্রতিবেদক|নরসিংদী প্রতিদিন-
মঙ্গলবার ২৪ মার্চ ২০২০:
নরসিংদীর রায়পুরায় চাঁদা না দেয়ায় সজল ভূইয়া নামে এক সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান। সজল ভূইয়া এস.এ টেলিভিশনের নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি ও মেসার্স সজল ভূইয়া এলপিজি ফিলিং স্টেশনের স্বত্তাধিকারী।
এ ঘটনায় সাংবাদিক সজল ভূইয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) নরসিংদীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সাংবাদিক সজল নরসিংদী শহরের পশ্চিমকান্দা পাড়া মহল্লায় বসবাস করেন। রায়পুরার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের করিমগঞ্জে নির্মাণাধীন মেসার্স সজল ভূইয়া এলপিজি ফিলিং স্টেশনের মালিক তিনি। ওই ফিলিং স্টেশনের নির্মাণ কাজ শুরু করার পর থেকে ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য গেলে হয়রানী করাসহ বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেন ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান ও তার সহযোগীরা।
গত ৫ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চেয়ারম্যানের স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ওই ফিলিং স্টেশনে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এ সময় সেখানে থাকা এস.এ টিভির সাংবাদিকের ক্যামেরা ম্যান ইসমাইল মিয়া এই ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করতে গেলে তাকে লোহার রড ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে আহত করে। এ ঘটনায় ইসমাইল বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গত ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নির্মাণাধীন এল.পি.জি ফিলিং স্টেশনের কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য ঘটনাস্থলে যান সাংবাদিক সজল। এসময় অমিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খানসহ ৮ জন স্থানীয় লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলপিজি ফিলিং স্টেশনে আসেন। এ সময় চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার সাথে থাকা নোয়াব আলী নামের এক চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু সজলের কাছে ১৬ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় সজলকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
এ ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জীবনের নিরাপত্তহীনতাসহ ফিলিং স্টেশনের নির্মাণ কাজ নিয়ে আশংকা তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় নরসিংদীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে আমিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খানকে ১নং আসামী করে ৮জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক সজল ভূইয়া।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।