মোঃ নাহিদ প্রধান | নরসিংদী প্রতিদিন-
বুধবার-২৫ মার্চ ২০২০: নরসিংদী সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও করোনা আতংকে কমে গেছে রোগী। প্রতিদিন যেখানে পাঁচশত থেকে ছয়শত রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসতেন, এখন সেখানে গড়ে মাত্র ১৫০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। কমেছে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও। করোনা ভাইরাস আতংকের ফলেই এই অবস্থা বিরাজমান বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আমিরুল হক শামীম ।
হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলায় রয়েছে পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড। এই তিনটি ওয়ার্ডে সব মিলিয়ে মাত্র ২০জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। নরসিংদী সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী শহরের ১০০ শয্যার এই হাসপাতাল যেখানে বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে চিকিৎসা নিতেন পাঁচশত থেকে ছয়শত রোগী। করোনা আতংকে সেখানে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন মাত্র একশত থেকে একশত পঞ্চাশ জন রোগী। আর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল গড়ে প্রতিদিন নব্বই থেকে একশত জন। সেখানে পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর সংখ্যা মাত্র ২০ জন। করোনা আতংকের কারণেই অন্যান্য রোগীরা হাসপাতালে আসছেন না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা । সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়,বর্হিবিভাগে বসে আছেন চিকিৎসক কিন্তু নেই কোন রোগী। দন্ত বিভাগের সামনে বসে আছেন কয়েকজন রোগী। টিকেট কাউন্টারে নেই সেবা নিতে আসা কোন রোগীর ভীড়। হাসপাতালটির জরুরী বিভাগে আছেন কয়েকজন রোগী। আর করোনা আতংকে সুরক্ষা পোশাক (পিপিআই) পড়ে সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আমিরুল হক শামীম বলেন, সারাবিশ্বেই এখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমন দেখা দিয়েছে। প্রবাসীরা কেউ কেউ এই ভাইরাস নিয়ে দেশে চলে আসতেছেন। আইইডিসিআর এর মাধ্যমে বাংলাদেশেও করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। সাধারণ রোগীরা হাসপাতালে আসতে ইতস্ততা বোধ করছেন, আর একটা টিউমারের রোগী যার পরে অপারেশন করলেও চলবে এমন রোগীরা হাসপাতাল এড়িয়ে চলছেন। হাসপাতালে সব ধরনের রোগী আসেন, যার ফলে হাসপাতালে গেলে করোনায় আক্রান্তের সম্ভাবনা আছে, তাদের মধ্যে এমন আতংক কাজ করছে। তবে হাসপাতালে যেসব রোগী সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টর অথবা বমি এমন রোগীগুলোকে আলাদা ট্রায়েস রুমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি ।