খন্দকার শাহিন | নরসিংদী প্রতিদিন-
শনিবার,২৮ মার্চ ২০২০: নরসিংদীতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭৯ জনে। অন্যদিকে ১৪দিন মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১৮৯ জনকে কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (২৮ মার্চ) সকাল পর্যন্ত নরসিংদী প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চত করেন সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটন। তিনি আরো জানান এখন পর্যন্ত নরসিংদী জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের কোন খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে,করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে কাঁচাবাজার,মুদি ও ঔষধের দোকান ব্যতিত অন্যসব দোকান,হোটেল রেস্তোরা,সাপ্তাহিক হাটসহ সকল প্রকার সমাবেশ,মাঠে খেলাধুলা ও গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,লোক সমাগম ঠেকাতে সেনাবাহিনী টহল সহ জেলা পুলিশের বিশেষ টিম মাঠে রয়েছে। এতে বাজার বন্দরে ঘুরে ঘুরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের লোকজন মাইকিং এর মাধ্যমে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছে বাড়ি থাকার জন্য। তবুও এই মহামারিতে অনেকে অতি উৎসাহি হয়ে চলা ফেরা করছে। মানছে না প্রশাসনের নির্দেশনা।
দেখা গেছে বিকেল হলেও নরসিংদী পৌর শহরের বাসাইল,তরোয়া,ভাগদী,বানিয়াছল,চৌয়ালা,নাগরিয়াকান্দী,সদর উপজেলার নজরপুর,করিমপুর,শিলমান্দী ইউনিয়ন,মাধবদী পৌর শহর,সাবেক রেল সড়কে,মহিষাশুড়া ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ বাজার,খিলগাঁও,কাঠাঁলিয়া ইউনিয়নের মৈষাদী,ফজুরকান্দী, দস্তরদী,নোয়াকান্দি,খড়িয়া বাজার,কাঠাঁলিয়া,ডৌকাদী সহ অন্যান্য ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম গুলোতে মাঠে খেলাধুলা করা সহ এ যেন উৎসবে মেতেছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া এ জেলার বাজার গুলোতে পুলিশ দেখে আড়ালে থেকে কিছুক্ষন পর আবার জনসমাগম হচ্ছে। আরো দেখা গেছে, ঔষধ ও কাঁচাবাজার মুদিমনোহরি দোকান গুলোতে লোক সমাগম ও মানছে না সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার গোল বৃত্ত।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণ জনগনকে অনেক ভাবে বুঝানো হচ্ছে বাড়িতে থাকার জন্য। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বাহিরে না বের হতে। সবাই যদি বিশেষ প্রয়োজনে একজন করে বাজারে এসে কাঁচাবাজার মুদিমনোহরী ও জরুরীসেবা নিতে আসে তাতে লোক সমাগম কম হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে বাড়ি থাকা অতি জরুরী প্রয়োজন।