শেখ মানিক | নরসিংদী প্রতিদিন –
শনিবার, ২৮ মার্চ ২০২০ : নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার পালপাড়া বাজার সংলগ্ন রাস্তার দুই পাশে বিশাল বিশাল বালুর পাহাড় করে ভিটি বালুর ব্যবসা করছে বাবুল মিয়া ওরফে ফালাইন্না। এসব বালু আবার ট্রাক ও অবৈধ ট্রলিতে করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। বাতাসে ধুলা-বালি ওড়ানোর ফলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পাশাপাশি রাস্তায় চলাচলে অবৈধ ট্রলি দিয়ে নষ্ট করা হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। এছাড়াও ধুলাবালির কারণে পরিবেশ দূষণে মৃত্যুর মূখে বসবাস করছে স্থানীয় ভাবে বসবাসকারী কয়েকটি পরিবার। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের বাড়ী ঘর রক্ষায় এবং নিজেদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে নালিশ করলে একাধিকবার সালিশ দরবারে বসলে কোন কিছুর তোয়াক্কা করছে না বালু ব্যবসায়ী ফালাইন্না।সর্বশেষে ওই বালু ব্যবসায়ী অসহায় দুটি পরিবারকে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এ মিথ্যা মামলার পর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বাবুল মিয়া ওরফে ফালাইন্না উপজেলার পালপাড়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ ফালাইন্না প্রথমে নিজের জমিতে বালু স্তুপ করে ব্যবসা শুরু করেন। বালু ও পানিতে পাশের জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় ঐ সকল জমির মালিকদের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে ব্যবসার পরিধি বিস্তার করেন। এতে তিন পাশে বালুর স্তুপ এক দিকে আব্দুল রববানের ছেলে হারুনুর রশিদ ও আফসার উদ্দিনের ছেলে কাজল মিয়ার বাড়ি। যখন বালু উঠানো হয় তখন বালু ও পানিতে তাদের বাড়ির আঙ্গিনা ভেসে যায় এবং বালুর স্তর পরে এতে তাঁরা বাধা নিষেধ করেন। অবস্থায় তাদের বাড়ীর সীমানা খুঁটি বালুর নিচে পড়ে যায়। সে কারণে হারুন ও কাজল মিয়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানান। পরে সালিশ দরবারে তাদের বাড়ীর সীমানা নির্ণয় করে দেন। উপস্থিত সালিশ দরবারে বাবুল মেনে নিলেও পরে তাদেরকে অমান্য করেন। হারুন ও কাজল তাঁরা নির্ধারিত সীমানায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে বাধা প্রধান করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, হারুন ও কাজলের পরিবার দীর্ঘদিন যাবৎ বালুর স্তুপের জন্য ভোগান্তিতে। আমরা এলাকার লোকজন বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। এখন শুনছি তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দিয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে বাবুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে বাবুল জানান, আমার বালুর স্তুপ থেকে তাদের সীমানায় বালু গিয়ে থাকলে তারা মামলা করুক জবাব দিব। এলাকায় কোন সালিশ দরবার হয়নি। আর চাঁদাবাজি বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে চাঁদা চেয়েছে তাই চাঁদাবাজির মামলা দিয়েছি।