নারায়ণগঞ্জ | নরসিংদী প্রতিদিন –
রবিবার, ২৯ মার্চ ২০২০ :
ঢাকা-সিলেট মহা সড়কে অবাধে চলছে গণপরিবহন। মানছে না সরকারি নির্দেশনা। এসব গণপরিবহনে যাত্রীসাধারণ করোনা ভাইরাসকে তোয়াক্কা না করেই চলাচল করছেন। এতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও দেদারছে চলছেই। এমনকি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই চলছে গণপরিবহন। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা থাকলেও বন্ধ হয়নি উপজেলার ভূলতা গাউছিয়া এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গণপরিবহনগুলো।
সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির ষোষণায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকার কথা থাকলেও মানছেন না এখানকার গণপরিবহনের চলকরা ।
রবিবার (২৯ মার্চ) সকালে উপজেলার ভূলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে পিকআপ, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন। যাত্রীদেরও ভীড়ও দেখা গেছে। এদের মধ্যে গার্মেন্ট কর্মী ও দূর জেলার যাত্রীও রয়েছেন।
কথা হয় স্থানীয় রবিন টেক্স এ কর্মরত শ্রমিক আল আমিনের সাথে। তিনি বলেন, আমার কাজে প্রয়োজনে বের হতে হয়। আগের মতো দূরপাল্লার বাস না থাকায় বেশি দাম দিয়ে পিকআপে ভ্রমণ করি। তবে খুব ভীড় থাকায় আতঙ্কে থাকি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, করোনা পরিস্থিতিকে অনেক মানুষ কিছুই মনে করছে না। লকডাউন মানছে না। এতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। প্রতিদিন শতাধিক যানবাহন চলতে দেখছি। মানুষের ভীড়ও কম না। সরকারের নির্দেশিত লক ডাউন পালন না করলে সবাই অনিরাপদ হয়ে পড়বো। তাই প্রশাসনের টহল বাড়ানো উচিত।
এ বিষয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুমন আজহার বলেন, কিছু যানবাহন চলছে জরুরি প্রয়োজন দেখিয়ে। মানুষজন যেন লক ডাউন মানে থানা পুলিশ মাঠে কাজ করছে। তাছাড়া যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগ রয়েছে। তাদের আরো তৎপর হতে হবে।
এ বিষয়ে বরপা অঞ্চলে দায়িত্বরত টিআই ইকবাল হোসেন বলেন, কিছু গার্মেন্ট খোলা রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন লোকজন জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াাত করছে। এসব নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অব্যাহত আছে।