নিজস্ব প্রতিবেদক| নরসিংদী প্রতিদিন-
মঙ্গলবার ৩১ মার্চ ২০২০:
নরসিংদীতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বীরপুর সতীশ পাকড়াশী পাঠাগারের সচেতনতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সেচ্ছাসেবী সদস্যরা। পাঠাগারের উদ্যোগে হাত ধোঁয়া জন্য এলাকায় বিভিন্ন স্থানে ৪টি পানির ট্যাপ ও সাবানের ব্যবস্থা করেন। প্রতিদিন গভীর রাত পযর্ন্ত জীবাণু নাশক স্প্রে করা হয়। সেইসাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গোল বৃত্ত অঙ্কন করে দিয়ে সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করার জন্য সর্তকতা অবলম্বনে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। এলাকার বিভিন্ন স্থানে দেখাযায় সচেতনতামূলক দেয়াল লিখন।
সতীশ চন্দ্র পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক তুষার বর্মন বলেন, নরসিংদীর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড বীরপুর গ্রামটি জনবহুল এলাকা। এ গ্রামের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্রের চাপে পিষ্ট। তা উপেক্ষা করেও মানুষ তার সর্বোপরি দিয়ে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলছে বিভিন্ন কাজে রীতিমতো যাকে বলা যায় বেঁচে থাকার যুদ্ধ।
কিন্তু বর্তমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবকিছু লকডাউন করে দেয়ায় তাদের জীবিকা নিবার্হ এক অভিশাপে পরিণত হযে দাঁড়ায়। সেই সাথে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করা তাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য। জীবন বাঁচাতে আমরা যখন সবাই ঘরে বসে সুদিনের প্রহর গুনছি ঠিক তখনই একদল খেটে খাওয়া মানুষ দুশ্চিন্তায় সময় কাটাচ্ছে পরিবারের মুখে একবেলা খাবার তুলে দেবার আশায়। অন্য দিকে কিছু কিছু পরিবার একবেলার খাবার যোগার করার ক্ষমতাহীন বিধায় অনাহারে দিন কাটাছে যা খুব হৃদয়বিদারক দৃশ্য। স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা নাই বললাম।
সতীশ চন্দ্র পাঠাগারের সভাপতি লোকনাথ বর্মন বলেন, আমাদের পাঠাগার চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু পাঠাগারের সদস্যবৃন্দ প্রায় সকলেই স্টুডেন্ট থাকায় আর্থিক সহযোগিতা করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু যতটুকু সম্ভব স্বাস্থ্য সচেতন বিষয় প্রচারে কাজ করে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সকলকে সচেতনতার লক্ষ্যে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিয়মিত কিছুক্ষণ পর পর সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়া এবং করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কি কি করণীয় তা সম্পর্কে অবগত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া এলাকায় চারটি পানির ট্যাপ স্থাপন করা হয়েছে যার সুবাদে এলাকার লোকজন নিয়মিত হাত ধোঁয়ায় অভ্যস্থ হচ্ছে। এছাড়া মুদির দোকান গুলোতে সার্কেল মার্ক করে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে এলাকায় নিয়মিত জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজ অব্যাহত রয়েছে। আমরা আরও কিভাবে করোণা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারি তা নিয়ে প্রতিনিয়তই সকলের পরামর্শ গ্রহণ করছি। আমরা ১২/১৫ জন সেচ্ছাসেবী করোনা দুযোর্গ মোকাবিলায় কাজ করতে প্রস্তুত, ইতিমধ্যে যতটুকু সম্ভব করে যাচ্ছি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষগুলোর মুখে খাবার তুলে দিতে চাই তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। অতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের দুবেলা আহার নিশ্চিত করতেই আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্ঠা। দেশের এই জাতীয় সংকটে আমাদের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় ঔষধ ও খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।