ভোলা | নরসিংদী প্রতিদিন-
বুধবার-১ এপ্রিল-২০২০: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সাংবাদিক সাগর চৌধুরীকে নির্যাতন ও এই নির্যাতনের ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও স্থানীয় বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের ছেলে নাবিল হায়দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে বোরহানউদ্দিনের উপজেলা সড়ক এলাকার বাসা থেকে নাবিলকে গ্রেফতার করা হয়। লালমোহন সার্কেলের এডিশনাল পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার নাবিল হায়দার ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের ছোট ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে তার বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা হয়। সাংবাদিকের ওপর এমন বর্বর হামলার ঘটনায় ন্যায়বিচার দাবি করেছে সচেতন মহল।
নাবিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি এসএম হলের আবাসিক ছাত্র এবং ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, সাংবাদিক সাগর চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে বোরহানউদ্দিন থানায় নাবিলকে প্রধান আসামি ও পাঁচজনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আহত সাগর চৌধুরী বলে, ‘বড় মানিকা ইউনিয়নের সরকারি নিবন্ধিত জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত চাল ৪০ কেজি করে বিতরণের কথা থাকলেও ওই ইউনিয়নে দেয়া হয় সবোর্চ্চ ২০ কেজি করে। এ ঘটনা আমি বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজীকে জানাই। এছাড়া রাতের আঁধারে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়ার সময় আমি ছবি তুলি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে মঙ্গলবার সকালে আমাকে ফোন করে জরুরি কথা বলার জন্য রাজমনি সিনেমা হলের সামনে আসতে বলে। আমি গেলেই সে আমার জামার কলার ধরে মারধর শুরু করে। আমি নাকি তার মোবাইল ফোন চুরি করার চেষ্টা করছি এটা বলে আরও মারধর করে। আমাকে মারধর করা অবস্থায় চোর বলে ফেসবুকে সে লাইভ করে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরে আমার পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় ভোলা সদর হাসপাতলে আমাকে ভর্তি করা হয়।’