নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন –
বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল ২০২০:
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ও সম্ভাব্য রোগীদের চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত ডাক্তার ও নার্সদের জন্য ৫০ হাজার মানসম্পন্ন পেশাদার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) দেবে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। এর মধ্যে রয়েছে সম্পূর্ণ প্রতিরোধমূলক পোশাক, এন৯৫ মাস্ক, গ্লাভস এবং গগলস। এছাড়া ১০ হাজার পিসিআর টেস্টিং কিটও দেবে প্রতিষ্ঠানটি।
এ সব মেডিকেল সরঞ্জাম স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে নির্বাচিত হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া হবে। গ্রামীণফোন মনে করে, এ উদ্যোগের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধের যুদ্ধে যেসব স্বাস্থ্যকর্মী সরাসরি সামনে থেকে কাজ করবেন এবং আইসিইউতে দায়িত্বপালন করবেন তাদের সুরক্ষায় সহায়তা করবে। বুধবার গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্স মুহাম্মদ হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের বরাত দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষের এই দুঃসময়ে আমাদের সরকারকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের এই ইতিবাচক উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমি বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগটি জাতীয় সঙ্কটপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারকে সর্বাত্মক সাহায্য করতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও অনুপ্রাণিত করবে। একইভাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের বরাত দিয়ে বলা হয়, এই সঙ্কটপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন আমাদের পাশে থেকে সহায়তা করতে চেয়েছে।
আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই তারা কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে যারা সামনে থেকে কাজ করছেন তাদের সুরক্ষার জন্য জন্য পিপিই সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে একটি ভালো সংখ্যক পিসিআর টেস্টিং কিট সংস্থান করে দেয়ার উদ্যোগটিও খুবই প্রশংসনীয়। এই ক্রান্তিকালে গ্রামীণফোনের এ সকল উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ভাইরাসটি যেন ছড়াতে না পারে সে লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনই সময় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে এসে করোনা প্রতিরোধে এক সঙ্গে কাজ করার।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, বিশ^ব্যাপী এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যক্তিগত এ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। বিশ্বের কোনো দেশই এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত ছিল না। এই মহামারি মোকাবেলায় আমি সরকারি-বেসরকারি সবাইকে এগিয়ে এসে এক সঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।