নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
বৃহস্পতিবার ০৯ এপ্রিল ২০২০:
একশ শয্যা হাসপাতালের একজন জরুরি বিভাগের ডাক্তারসহ তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এবং ওই ডাক্তারের সংস্পর্শে আসায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো.জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, জেলা করোনা ফোকার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা হোম হোয়ারেন্টাইনে আছেন।
আইইডিসিআরের পরামর্শে তারা হোম কোয়ারেন্টে আছেন। তাদের চারজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরও জানান জেলা প্রশাসকের করোনার নমুনা পরিক্ষায় রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে। পুলিশ সুপারের কথা বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে জানতে পারলেও আনুষ্ঠানিক ভাবে জানা যায়নি।
নারায়ণগঞ্জের তিনশ শয্যা হাসপাতালকে করোনা ইউনিট করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আলোচনা চলছে। খানপুরে হাসপাতাল করোনা ইউনিট করা হলে সাধারণ রোগীদের জন্য নিতাইগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ভিক্টোরীয়াকে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা পাবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতে নারায়ণগঞ্জ সবচেয়ে বেশি ভয়বহতার মধ্যে আছে। তিনি বলেন, আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের সাথে জেলা প্রশাসনের ভিডিও কনফারেন্স রয়েছে। ওই কনফারেন্সে নারায়ণগঞ্জে যাতে জরুরি ভিত্তিতে করোনা ইউনিট খোলা এবং প্রশিক্ষিত ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয় প্রদানের বিষয়টি তুলে ধরবো।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জে দ্বিতীয় দিনেরমত লকডাউন চলছে। নারায়ণগঞ্জের সবগুলো প্রবেশদ্বারে জনসমাগম ঠেকানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে নানা অজুহাতে বাইরে বেরিয়ে আসছে মানুষ। তবে গত গতকালের চেয়ে আজ নগরীতে লোকের চলাচল বেড়েছে।
এদিকে আজ সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃংখলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
তবে গতকালের তুলনায় আজ শহরের রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। আর করোনার ঝুকিতে নারায়ণগঞ্জকে ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইইসিডিআর। আর মানুষ সতর্ক না হয়ে লকডাউনে ঘরে থাকার নির্দেশ মানছেন না অনেকেই। শহরসহ অনেক অলিগলিতে মানুষ নানা অজুহাতে বেরিয়ে আসছে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জে লকডাউন বাস্তবায়ন ও করোনা ভাইরাস সংক্রমনরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে নেমেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন সূত্র জানিয়েছে এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ জন।