মোঃ মোখলেছুর রহমান|নরসিংদী প্রতিদিন-
বৃহস্পতিবার ২৩ এপ্রিল ২০২০:
গাজীপুরের কোনাবাড়ী বাজারে মানছেনা কেউ সামাজিক দূরত্ব। ক্রেতা বিক্রেতারা একে অন্যের গা-ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছেন। কাঁচা বাজার এবং মাছ বাজারের অবস্থা দেখে মনে হয় এযেন করোনার হটস্পট। গত ১১ তারিখে গাজীপুর জেলাকে লক ডাউন ঘোষণা করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম। কিন্তু কোনাবাড়ী কাঁচাবাজার, জরুন বাজার, রাস্তা ঘাট,অলিতে গলিতে লোক সমাগম দেখে বোঝার উপায় নেই গাজীপুর জেলাতে লক ডাউন চলছে। সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কাঁচা বাজার,জরুরী খাদ্য ও ঔষধের দোকান খোলা থাকার কথা থাকলেও যে যার মতো বিভিন্ন দোকান খুলে বসে আছে। এতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। আবার প্রশাসনের নাকের ডগায় কোনাবাড়ী কাঁচা বাজারের ভিতরেই বসিয়েছে
কাপড়ের দোকান। খোলা রয়েছে খাবারের হোটেল। স্থানীয়রা মনে করেছেন প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই এমনটি হচ্ছে। তারা মনে করছেন প্রশাসন যদি জোড়ালো প্রদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে কোনাবাড়ী বাসীকে এর মাসুল গুনতে হতে পারে। আবার বাজারে ঢোকার গলিতে বড় করে ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে দূরুত্ব বজায় রেখে চলছে কোনাবাড়ী বাজার। বাজারের ভিতরে প্রবেশ করলেই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে কেনা কাটা করছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। পত্র -পত্রিকা, টেলিভিশনের কল্যাণে নিয়ম কানুন সবই জানেন তারা। কিন্তু মানতে রাজি নন কেউ। এছাড়াও কোনাবাড়ী জরুন কাঁচা বাজারের চিত্র একই। সেখানেও কেউ মানছে না সামাজিক দূরুত্ব।
খোলা রয়েছে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সকল প্রকার দোকান পাট। আবার দুপুর ১২ টার পর থেকে চায়ের দোকানের সাটার নামানো থাকে। বাহির থেকে টোকা দিলেই ভিতর থেকে গাইবি আওয়াজ আসে কি লাগবে? চা,কপি নাকি সিগারেট।
স্থানীয় বাসিন্দা ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ খলিলুর রহমান জানান,কোনাবাড়ী বাজারের অবস্থা দেখলে মনে হয় ঈদের বাজার। এতে যে কোন সময় বড় ধরনের ঝুঁকিতে পরতে পারে কোনাবাড়ীবাসী।
প্রশাসনের নির্দেশনা তোয়াক্কা করছেনা তারা। ম্যাজিস্ট্রেট,পুলিশ ও সেনাবাহিনী দেখলে সটকে পরছে। তারা চলে গেলে আবার ভীড় জমাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় কোনাবাড়ী জোনের উপ-সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ আহসান হাবিবের সাথে তিনি বলেন,আমাদের টহল টিম মাঠে আছে তারা কাছ করছে এই বলেই মোবাইল ফোন রেখেদেন। পরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।