মোঃ মোখলেছুর রহমান|নরসিংদী প্রতিদিন-
শনিবার ০২ এপ্রিল ২০২০:
হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পেরে ভূমিষ্ঠ হওয়া ১১ দিনের শিশু সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছে মা। পরে সন্তান বিক্রির ২৫ হাজার টাকা দিয়ে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন শরিফ কেয়া দম্পতি। এই ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে সেন্ট্রাল হাসপাতাল নামক একটি প্রতিষ্ঠান।
বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে হাসপাতাটালের ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন তারা। তারা উভয়ে পোশাক কারখানায় চাকুরী করতেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় গত ২১ এপ্রিল কোনাবাড়ী সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হয় কেয়া খাতুন। সিজারের মাধ্যমে তার কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে ছেলে সন্তান। তারা কাশিমপুর এলাকার এনায়েতপুুুরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। কেয়া খাতুন ওই হাসপাতালে ১১ দিন ছিলো। হাসপাতালে ১১ দিনে বিল আসে ৪৭ হাজার টাকা।
ওই দম্পতি বলেন, আমার পরিবার টাকা জোগাড় করার অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে পারিনি। আমার ঘরে রান্না করবো সেই খাবারো ছিলোনা। এতো টাকা কিভাবো পরিশোধ করবো।
দম্পতি আরো বলেন, আমার ১১ দিনের সন্তান রেখে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তখন নিজ সন্তানকে (১লা মে) ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করে হাসপাতলের বিল পরিশোধ করি। নিজ সন্তানকে অন্যের কাছে বিক্রি করে অসহায় এর মতো শূন্য হাতে বাসায় ফিরে আসি।
কিন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা। হসপিটালের মেনেজিং ডিরেক্টর মোনায়েম খান বলেন, সন্তান বিক্রির বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। হসপিটালের বিল পরিশোধ করে তারা চলে গেছে। বাহিরে কি হয়েছে সে বিষয়ে আমি জানিনা।
পরবর্তীতে বিষয়টি এডিশনাল আইজি (এসবি) মাধ্যমে গাজিপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এর নজরে আসলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশদেন তিনি। পরে ওই টাকা পরিশোধ করে মায়ের কোলে ফিরিয়েদেন শিশু সন্তানটিকে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন,ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখ জনক। তিনি বলেন খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে সন্তানটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেই।