নিউজ ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন
-বৃহস্পতিবার-৭ মে ২০২০: করোনা ভাইরাসের করাল গ্রাসে পৃথিবী অসহায়। চোখের সামনে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। আক্রান্ত হচ্ছে লাখ লাখ লোক। কেউ কিছু করতে পারছে না। নেই কোনও প্রতিকার। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা দিনরাত পরিশ্রম ও গবেষণা করছেন ভাইরাসটির ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য। কিন্তু এখনও কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না।
এবার ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন এনে জুন থেকেই দেশে এর ক্লিনিকাল টেস্ট শুরুর পরিকল্পনা চলছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) রাজধানীর মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কয়েকটি ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
এ বিষয়ে সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন বেল জানান, ৬ সপ্তাহ অর্থাৎ জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে মানবদেহে ভ্যাকসিনের প্রভাব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তারপরই এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
করোনা প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিন কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য বহুল আলোচিত ওষুধ ‘রেমডিসিভির’ উৎপাদন চলতি মাসেই শুরু করবে বলে রয়টার্স ও নিউইয়র্ক টাইমসের মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে খবর বেরিয়েছে।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে রেমডিসিভির ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে। মূল উৎপাদনকারী গিলিয়াড ১৫ লাখ ডোজের প্রথম ব্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের রোগীদের জন্য দান করবে।
এদিকে বেক্সিমকো’র চিফ অপারেটিং অফিসার রব্বুর রেজা জানিয়েছেন, চলতি মে মাসের মাঝামাখি বেক্সিমকো ওষুধটি বাজারজাত করার অনুমতি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এরপর থেকে সরকারের মাধ্যমে বিতরণের জন্য ওষুধটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করবে বেক্সিমকো। এই ওষুধ মানুষের শিরায় প্রয়োগ করতে হয়। প্রতি ডোজ ওষুধের দাম পড়বে ৫-৬ হাজার টাকা। আর গুরুতর অসুস্থ রোগীদের মোট ৫ তেকে ১১ ডোজ ওষুধ প্রয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এটি এখনও নিশ্চিত নয়।
রেমডিসিভির ওষুধটি প্রথমে ইবোলা ভাইরাসের চিকিৎসায় প্রস্তুত করা হয়েছিল। তবে তখন এটা খুব কাজে আসেনি।