লাইফস্টাইল ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-করোনা সংক্রমণের এই সময়ে শরীরে বাড়াতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যার সবচেয়ে ভালো উৎস হলো খাবার। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেতে পারেন গ্রিন ট্রি। গ্রিন টিতে রয়েছে ফ্লেভোনয়েড নামক একটি উপাদান,যা আসলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই শক্তিশালী উপাদান সব দিক থেকে শরীরকে চাঙ্গা রাখে। গ্রিন টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এ ছাড়া কেটেচিন নামেও একটি উপাদান থাকে এই চায়ে, যা ভিটামিন 'ই' ও 'সি'র থেকেও বেশি শক্তিশালী। এটি শরীরে প্রবেশ করে একাধিক উপকার করে। আর গ্রিন টি খেলে ওজন কমে।
গ্রিন টি পানে যতউপকার-
১. গ্রিন টি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বক মসৃণ রাখতে এবং বয়োবৃদ্ধি প্রতিরোধে করে।
২. এই চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন, যা স্নায়ুতন্ত্র ও শরীরকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে। আর দুর্বলতা বা অবসন্নতা দূর করে।
৩. অ্যাজমা, স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় গ্রিন টি। এতে থাকা ফ্লুরাইড ও পলিফেনল দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। দাঁতের ক্যাভিটি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। পরিপাক ক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
৫. আর্থ্রাইটিস রোগের ঝুঁকি কমায়। অ্যালার্জির বিরুদ্ধে কাজ করে। মুখের ব্রন দূর করতে সহায়তা করে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
গ্রিন টি কখন খাবেন?
১. সকালের নাশতার পর গ্রিন টি খেতে পারেন। এতে সারাদিন শরীর ভালো থাকবে।
২. রাতে ঘুমাতে বিছানায় যাওয়ার ২ ঘণ্টা আগে গ্রিন টি খেতে পারেন। এ সময় গ্রিন টি খেলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
৩. ব্যায়াম করার আধাঘণ্টা আগে গ্রিন টি খেলে আপনার কর্মদক্ষতা বাড়বে। ফলে ওজন ও মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
৪. খাবার খাওয়ার কমপক্ষে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর অথবা আগে গ্রিন টি পান করুন।
কখন খাবেন না
১. সকালে খালি পেটে গ্রিন টি ভুলেও খাবেন না।
২. খাওয়ার পরও গ্রিন টি খাবেন না।
৩. ঘুম নিয়ন্ত্রণে গভীর রাতে গ্রিন টি পান করবেন না।