মোঃ আব্দুল কাদির | রায়পুরা প্রতিনিধি
-শনিবার-২০ জুন ২০২০: নরসিংদীর রায়পুরায় মো. শাহীন মিয়া (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রের বিরুদ্ধে সহপাঠীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযুক্ত শাহীনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। আজ শনিবার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ওই ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) উপজেলার রায়পুরা ইউনিয়নের সাহারখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শাহীন ওই গ্রামের মো. তাহের মিয়ার ছেলে। সে আব্দুল কাদের ভূঞা মডেল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়,ওই স্কুলছাত্রী একই ইউনিয়নের সাহারখোলা গ্রামের টেলিকম ব্যবসায়ীর মেয়ে। অভিযুক্ত শাহীন তার সহপাঠী। তারা দুজন একই স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। শাহীন ওই ছাত্রীকে অনেক দিন ধরেই উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সহপাঠীর এমন আচরণের কথা লজ্জায় তখন কাউকে জানাইনি সে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ওই ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাহির বের হয়। এ সময় শাহীন ও তার এক সহযোগি মিলে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে ধর্ষণ চালায়। রাত দশটার ওই ছাত্রীকে তার বাড়ির পাশে হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে যায় শাহীন। পরে ওই ছাত্রীকে তার পরিবার অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন শাহীনকে তার বাড়ি থেকে আটকের পর পিটুনি দিয়ে রায়পুরা থানায় সোপর্দ করেন।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, মেয়েকে বাড়ির পাশে অচেতন অবস্থায় পাই। পরে জ্ঞান ফিরলে মেয়ে জানাই শাহীন তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় আমার স্বামী বাদী হয়ে শাহীনসহ আরো দুই অজ্ঞাত লোকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে মেয়ে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের সর্ব্বোচ শাস্তির দাবি জানাই। এঘটনায় অভিযুক্ত শাহীনের পরিবারের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহীনসহ দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। শাহীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে জানা যাবে এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত ছিলো কিনা।