ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন-
বৃহস্পতিবার,২৬ আগস্ট ২০২০:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রবাসী জামালের রক্তাক্ত মৃতদেহ গোপনে দাফনের আগেই তথ্য পেয়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে আটক করেছে তার স্ত্রী শারমীন আক্তার (৪০) কে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, জামালের মৃতদেহ গোপনে দাফনের চেষ্টা করেছিলো তার আত্বীয়স্বজন। আমরা তথ্য পেয়ে সাথে সাথে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি ও তার স্ত্রী শারমীনকে গ্রেফতার করেছি।এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মৃত জামাল ফতুল্লা থানার দাপাইদ্রাকপুর এলাকার রেইনবো মোড় এলাকার মৃত মু. আলীর ছেলে। সে দীর্ঘদিন সৌদি আরব ছিলো।
মৃত জামাল মিয়ার মেয়ে সামিয়া আক্তার (২০) জানায়, তার বাবা রাত এগারোটার দিকে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। রাত আড়াইটার দিকে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলে সে ডাইনীং রুমের আলো জ্বালানো দেখতে পেয়ে তা নিভাতে এসে দেখতে পায় যে তার বাবার মৃত দেহ বাথরুমের ভিতরে পরে রয়েছে। তখন সে তার মা ও ছোট ভাইকে ডেকে তোলে।
পরবর্তীতে তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ডেকে তোলা হয়। সবাই এসে মৃত দেহ বাথরুম থেকে বের করে নিয়ে আসে তারা।
হাসপাতালে কেনো নিয়ে যাওয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এম্বুলেন্স না পাওয়ায় আর নিয়ে যাওয়া হয়নি। তাছাড়া পরিবারের সকলে এবং পাশ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারা ও তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করায় তারা আর হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। তাই নিকটাত্মীয় স্বজনদের পরামর্শে তাদের উপস্থিতিতে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো।
তবে থানা পুলিশের অপর একটি সূত্র জানায়, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে জামালকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে গোপনে দাফন কার্য সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেছিলো কিনা তা মাথায় রেখেই তদন্ত চলছে। আটক স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মাথায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তদন্ত শেষেই বলা যাবে এটি হত্যা নাকি দুর্ঘটনা। তবে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলেই পুলিশ ধারনা করছে।