বগুড়া
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল আশরাফকে মরধোরের অভিযোগ উঠেছে একই উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কুন্দারহাট এলাকায় প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে সেখানে বিক্ষোভ ওই আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থিত বিক্ষুদ্ধরা। এ ঘটনায় ওই আ’লীগ নেতাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
জানা যায়, আজ দুপুরে কুন্দারহাট বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ। এ সময় একই উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জুলফিকার আলী সেখানে হাজির হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানকে গালিগালাজ করেন এবং কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন উপজেলা চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে উপজেলা পরিষদে পাঠিয়ে দেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান চলে যাওয়ার পর কুন্দারহাট বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন এমন অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবি করা হয় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে।
এ ব্যাপারে ভাটগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জুলফিকার আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করতে যাওয়ার কথা আছে উপজেলা আওয়ামী লীগের। বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করার বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে আলাপ করতেই চেয়ারম্যান এ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় চেয়ারম্যানের গায়ে হাত তুলতে বাধ্য হই।
এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ বলেন, আমি নৌকা মার্কা নিয়ে উপজেলা নির্বাচন করেছি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার প্রশ্নই ওঠে না। কুন্দারহাট বাজারে শত শত মানুষের সামনে আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমি থানা পুলিশকে এ বিষয়ে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ শওকত কবীর বলেন, এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা জুলফিকার আলীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।