নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় পরিকল্পিতভাবে শাশুড়ি জহুরা খাতুনকে তার পুত্রবধূ জোসনা আরা বেগম রুনি (৩৬) এবং তার প্রেমিক মিলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহীদ হোসাইন জানান, মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে এ হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়।
তিনি বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িত পুত্রবধূ রুনি ও তার পরকীয়া প্রেমিকের অপর সহযোগী মু. আশিককে (২০) গ্রেফতারের পর তারা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বর্ণনা দেয়। পরবর্তীতে সোমবার বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হলে নোয়াখালীর বিজ্ঞ বিচারিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রুনি। এখনো পলাতক রয়েছে রুনির প্রেমিক।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, জহুরা খাতুনের ছেলে মু. ইলিয়াছ দীর্ঘদিন যাবৎ বিদেশে অবস্থান করেছেন। কিছুদিন আগে করোনাকালীন ছুটিতে দেশে আসে ইলিয়াছ। এদিকে তার স্ত্রী রুনি পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে প্রায় শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মধ্যে প্রায় সবসময় ঝগড়া লেগে থাকতো। এলাকাবাসীর মধ্যে এ পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে যায়। এটা বুঝে যাওয়ার পর পুত্রবধূ রুনি ও তার পরকীয়া প্রেমিক জহুরা খাতুনকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে জহুরা খাতুনের ছেলে ইলিয়াছের ১ম সংসারের ছেলের (জহুরার নাতি) সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য ঘর থেকে জহুরাকে বের করে আনেন পুত্রবধূ রুনি। পরে রুনির পরকীয়া প্রেমিক এবং তার সহযোগী গ্রেফতারকৃত আসামি আশিক ভিকটিম জহুরাকে হত্যা করে। পরে বাড়ি থেকে ৪শ মিটার দূরে ধান ক্ষেতে কাদা পানিতে মাথা ডুবিয়ে মরদেহ পুঁতে রাখে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীদ হোসাইন জানান, জহুরা হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি তার পুত্রবধু জোসনা আরা রুনির পরকীয়া প্রেমিককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।