1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

নিজেদের ‘নির্দোষ’ বললেন পাপিয়া-সুমন

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৬৬ পাঠক

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন-
বুধবার,৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২০:
অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ‘লেডি ডন’ খ্যাত শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বহুল আলোচিত এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পাপিয়া-সুমন দম্পতি আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে এ দাবি করেন। শুনানি শেষে আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ মামলার তৃতীয় তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব সদর দফতরের দায়িত্বরত এসআই আরিফুজ্জামানের সাক্ষ্য দেয়ার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর আদালত আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু এবং তাপস পাল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবু ফাতেহ মো. গোলাম ফাত্তাহ ও সাখাওয়াতউল্লাহ ভূঁইয়া।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট এই মামলায় প্রথম সাক্ষ্য দেন র‌্যাবের উপপরিদর্শক সাইফুল আলম। এর পরদিন ১ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী র‌্যাবের ডিএডি শফিকুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। ২ সেপ্টেম্বর একদিনেই ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তারা হলেন- পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়া, সিপাহী আলেয়া খাতুন, ফারুক হোসেন, দীপ্ত দাস ও জীবনচন্দ্র।

সবশেষ গত ৬ সেপ্টেম্বর আরও ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এই ৩ জন হলেন- মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুজ্জামান, সুধাংশু সরকার, মো. সাইরুল ইসলাম।

গত ২৩ আগস্ট চার্জ গঠনের মধ্যে দিয়ে পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। ওইদিনই চার্জ গঠন করে প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।

এর আগে গেল ২৯ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র আইনে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রাপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে ১২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

গেল ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)।

গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, নগদ ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারের পর ওইদিন (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতেই পাপিয়ার নরসিংদীর বাসায় এবং পর দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালায় র‌্যাব।

ওইসময়ই ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডের শওশন’স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসহুল ভবনে পাপিয়াদের ‍দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে পুলিশের এলিট ফোর্সের সদস্যরা।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান র‌্যাব গ্রেফতার করার পর বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি, অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অবৈধ ৫ কোটি টাকার খোঁজ পেয়ে পাপিয়া ও তার সহযোগীদের মানি লন্ডারিং আইনে আরেকটি মামলা করে। একইসময়ে দুদকও তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে। গ্রেফতারের পরপরই পাপিয়াকে নরসিংদী যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। গ্রেফতার পাপিয়া ও তার সহযোগীরা এখন কারাগারে আছেন।

গ্রেফতারের আগে গুলশানের অভিজাত হোটেল ওয়েস্টিনের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট ভাড়া নিয়ে মাসে কোটি টাকা বিল গুনতেন যুবলীগের এই নেত্রী (পরে বহিষ্কৃত)। দিনরাত সঙ্গে থাকত ৭ জন অল্পবয়সী তরুণী। আর তার মঞ্জিলে আনাগোনা ছিল সমাজের নানা পর্যায়ের এলিট মানুষের।

অস্ত্র আইনে পাপিয়া দম্পতির বিচারকাজ শুরু হলেও অপর তিনটি মামলার তদন্তকাজ এখনও শেষ হয়নি বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD