করোনা ভাইরাসের আঘাতে বিশ্ব অর্থনীতিই আজ বিপর্যয়ের মুখে। ধীরে ধীরে অর্থনীতি ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে এই আগেই অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে বলে দাবি অর্থনীতিবিদদের।
ক্ষতির তালিকায় আছে স্পানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনাও। এই মহামারির কারণে তাদের ক্ষতি প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো। সে কারণে নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তাদের বাজেটকে বিভিন্নভাবে সমন্বয় করতে হচ্ছে। প্রথম ফুটবল ক্লাব হিসেবে তাদের বার্ষিক রাজস্ব ১ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত করার আশা করেছিল বার্সা। মার্চ পর্যন্ত সে পথে তারা দারুনভাবে এগিয়েও যাচ্ছিল। কিন্তু করোনার থাবায় তিন মাস সবকিছু থমকে যাওয়া কাতালান ক্লাবটি উল্টো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
করোনার কারণে প্রতিদিনের আয় থেকে ক্লাবটি মারাত্বকভাবে বঞ্চিত হয়েছে। প্রতি বছর মিলিয়ন ইউরো আয় আসতে যে ক্লাব জাদুঘর ও ক্লাব দোকানগুলো থেকে সেগুলোও এখন বন্ধ রয়েছে। টেলিভিশন স্বত্ব এবং স্পন্সর চুক্তি থেকে এখন আরো ক্ষতির আশঙ্কা আছে। যে কারণে গত মৌসুমের তুলনায় ক্লাবকে বাধ্য হয়েই এখন বাজেট ৩০ শতাংশ কমাতে হচ্ছে।
২০২১ সালের শুরুতে ক্লাবের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করার আশা করার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও সেই খাতগুলো প্রকাশ করেনি বার্সেলোনা।
মহামারীর সময় আর্থিক এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে খেলোয়াড়রা তাদের বেতনের ৭০ শতাংশ কেটে নিতে রাজি হয়েছে। এই ক্ষতির কারণে ট্রান্সফার মার্কেটেও প্রভাব পড়েছে। নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যান বেশ কিছু খেলোয়াড়ের প্রতি আগ্রহ দেখালেও কোনো খেলোয়াড়কে বিক্রি না করা পর্যন্ত নতুন কাউকে নেয়া সম্ভব নয়। এখনো পর্যন্ত তারা শুধুমাত্র ইভান রাকিটিচকে সেভিয়ার কাছে ছেড়ে দিতে পেরেছে। এই তালিকায় ঝুলে আছে লুইস সুয়ারেজ, স্যামুয়েল উমতিতি ও আরতুরো ভিদাল।
তবে শেষ পর্যন্ত যেকোন ভাবেই হোক না কেন, তারা দলের সুপারস্টার লিওনেল মেসিকে দলে রাখতে সক্ষম হয়েছে। গত সপ্তাহে দলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা বার্সেলোনায় থেকে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন।
কোম্যান বলেন, ‘সবাই জানে সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। এমন একজন খেলোয়াড় ক্লাবের থাকার বিষয়টা একটু ভিন্ন। আমাদের জন্য এখন গুরুত্বপণূ হচ্ছে লিওকে তার সেরা কন্ডিশনে ক্লাবে খেলার সুযোগ করে দেয়া। তার যোগ্যতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। তাকে দলে পেয়ে আমরা সবাই দারুন খুশি।’