দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় টেকনাফ থানা থেকে বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির এজাহারভুক্ত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন। দুদকের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রদীপ দাশের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া দুদকের পক্ষে আমরা তার অবৈধ সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেছিলাম। পরে আদালত তার অবৈধ সম্পদ ক্রোকের অনুমতি দিয়েছেন।
এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত দুদকের মামলায় প্রদীপ কুমার দাশকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।
গত ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন। এ মামলায় ২৭ আগস্ট আদালতে প্রদীপ কুমার দাশকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জমা দেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকী কারণের বিরুদ্ধে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
২০১৮ সালে প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকী কারণের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল তাদের দুইজনকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। ১২ মে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ তারা পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনায় সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে ওসি প্রদীপসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছে র্যাব।