নারায়ণগঞ্জে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পর ঘুম ভেঙেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। পরপর দুইদিন বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পর রেললাইনে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। কাজ করার সময় দেখা গেছে লাইনে অনেক জায়গায় ত্রুটি রয়েছে। তবে রেললাইনে নিয়মিত সংস্কার করার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ না করায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। রেলওয়ের সংস্কার সেকশনের অবহেলা ও গাফলতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে নগরবাসীর অভিযোগ।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রোডে শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় রেললাইনের সংস্কার কাজ শুরু হয়। রেলওয়ের সংস্কার সেকশনের অধীনে ১৫-২০ জন শ্রমিক রেললাইনের সংস্কার কাজ শুরু করেন। তারা কাজ করতে গিয়ে দেখতে পান অনেক স্থানে লাইনের নাট হাল্কা হয়ে গেছে। এমনকি লাইনে ত্রুটি দেখা যায়। তবে নিয়মিত সংস্কার করলে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হতো না। নিয়মিত সংস্কার না করায় এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ার সেকশন রেললাইনের সংস্কারসহ মেরামতের কাজ করে। তাদের নিয়মিত কাজ করার কথা থাকলেও করোনার কারণে তারা নিয়মিত কাজ করেনি। তাই ত্রুটি কারো চোখে পড়েনি। করোনায় দীর্ঘদিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর গত কয়েকদিন আগে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার আগে লাইন চেক করতে পারত। কিন্তু দায়িত্বরত লোকজন তা করেনি। ফলে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেট ও ১নং রেলগেটের মাঝামাঝি দিগুবাবুর বাজার ও বোস কেবিনের সামনে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটি ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জে প্রবেশের সময় বগি লাইনচ্যুত হয়। শনিবার শহরের গলাচিপা এলাকায় ফের বগি লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশনের মাস্টার গোলাম মোস্তফা বলেন, নারায়ণগঞ্জে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় লাইনের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। কেন লাইনচ্যুত হলো তা খতিয়ে দেখে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে রেললাইনে নিয়মিত সংস্কার কাজ করা হয়। সংস্কার কাজ করার জন্য আলাদা লোক নিয়োগ দেয়া রয়েছে। তারাই নিয়মিত কাজ করেন।