‘বিয়ে নয় পাত্রি চাই’ নাম শুনেই ভ্রু কুচকে যায় এ আবার কেমন কথা! রাজীব মণি দাসের রচনায় ও কাওসার হোসেন জয়ের পরিচালনায় নির্মাণ হয় নাটক ‘বিয়ে নয় পাত্রি চাই’। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে- আখম হাসান, ফারজানা রিক্তা, আমিন আজাদ, শিশির আহমেদ, হিমু, শাহনেওয়াজ রিফাত, এস.এম. শাকিল, আফতাব উদ্দিন প্রমুখ।
মিজান গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। এ পর্যন্ত দু’শয়ের ওপর পাত্রি দেখা শেষ, কিন্তু কোনো পাত্রিই তার পছন্দ হয় না। বিভিন্ন শর্ত দেয়ার কারণে শর্ত মেনে কোনো পাত্রি তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। এদিকে পাত্রি দেখতে দেখতে তার বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে। এই বয়সে কোনো বাবা-মা তার কাছে মেয়েকে বিয়ে দিতে ইচ্ছুক না। গ্রামের মানুষ তার এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নানান ধরনের টিটকারী করে। তাই এবার যেকোনো মূল্যে তাকে বিয়ে করতেই হবে। সে গ্রামের ছোট ভাইদের শরণাপন্ন হয়। চঞ্চল একটু দুষ্টু প্রকৃতির ছেলে। তাই সে ইচ্ছা করে অন্ধ সালমাকে দেখায়। পাত্রি হিসাবে সালমাকে মিজানের অনেক পছন্দ হয়। সালমার প্রেমে হাবুডুবু খায় সে। তাকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু ঘটনা প্যাঁচ লাগে সালমার বাড়িয়ে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার পর। সালমার মুখে তার অন্ধত্বের কথাটা শোনে নির্বাক হয়ে যায় মিজান। যেখানে সমাজের মানুষ স্বাভাবিক নিয়মের দাস, সেখানে জীবনের বাস্তবিক নান্দনিকতায় আবদ্ধ ও সমাজের মানুষের স্বাভাবিক চিন্তা-চেতনার বাহিরে গিয়ে কীভাবে মিজান এমন একটি সিদ্ধান্ত নিল তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে ‘বিয়ে নয় পাত্রি চাই’ গল্পে।
আখম হাসান বলেন, নাটকের নাম শুনে কমেডি মনে হলেও নাটকটি বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। এই নাটকে দর্শক আমাকে সম্পূর্ণ ভিন্নরূপে দেখতে পাবে। পূর্বে এইরকম চরিত্রে কোনোদিন কাজ করিনি, তাই অভিজ্ঞতাও ভিন্ন।
ফারজানা রিক্তা বলেন, জীবনে এই প্রথম অন্ধের চরিত্রে অভিনয় করলাম। আমার চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে বুঝতে পারলাম অন্ধ মানুষের কষ্টগুলো। তারা ফুলের গন্ধ পায়, বাতাসের স্পর্শ পায়, বৃষ্টির শব্দ শোনতে পায়, শুধু সুন্দর পৃথিবীরটাকে দেখতে পায় না।
পরিচালক সূত্রে জানা যায়, নাটকটি যেকোনো একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে সম্প্রচার হবে।