নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কওমি মাদরাসায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ১৫ দিন আটকে রেখে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার অভিযোগে শহিদুল্লাহ (৪৫) নামের ওই শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষকের দ্বারা আগেও একই মাদরাসা আরেক ছাত্র যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর।
গতকাল রবিবার (০৪ আক্টোবর) তাকে আটক করা হয়। আটককৃত শহিদুল্লাহ সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় অবস্থিত মারকাযুল কোরআন কওমি মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোডিং-এর শিক্ষক।
ওই শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, গত ১৫ দিন যাবৎ শিক্ষক শহিদুল্লাহ ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ওই শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতন করে আসছে। ছাত্রটিকে ব্যথার ওষুধও সেবন করায় ওই শিক্ষক। ছাত্রটি মাদ্রাসা থেকে বাসায় চলে যেতে চাইলে তাকে ভয়-ভীতি দেখান শহিদুল্লাহ। কিন্তু গতকাল রবিবার সুযোগ পেয়ে ওই ছাত্র মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাসায় গিয়ে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানায়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল আলম জানান, অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।