সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১১:০৯ অপরাহ্ন
রাতের আঁধারে চারটি গভীর নলকূপের ১২টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত সপ্তাহের শনিবার ও বুধবার দিনগত রাতে রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিএমডিএর আওতাধীন গভীর নলকূপের এসব ট্রেন্সফরমার গুলো চুরি হয়ে যায়। এসব নলকুপগুলো পল্লী বিদ্যুৎ চালিত।
শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাধাইড় গ্রামের বাধাইড় মৌজার একটি গভীর নলকূপের তিনটি ও একই রাতে জোতগড়ী মৌজার একটি গভীর নলকূপের তিনটি ট্রেন্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। এর দুই দিন পর বুধবার দিবাগত রাতে একই কাইদায় টেটনা পাড়া মৌজায় থাকা একটি ও একই রাতে ঝিনাখোর মৌজায় থাকা আরো একটি গভীর নলকূপের তিনটি করে ৬টি ট্রেন্সফরমার চুরি হয়ে যায়।
দুই রাতে চারটি গভীর নলকূপের ১২ টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় তানোর উপজেলা জুড়ে কৃষক ও গভীর নলকূপ অপরেটরদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিটি ট্রান্সফরমার বাজার মুল্য ৫০ হাজার টাকার উপরে। যা কৃষকদের পকেটের টাকা থেকে এসব ট্রান্সফরমার গুলো ক্রয় করে থাকেন অপারেটর গুলো। এসব চুরি হওয়া ট্রান্সফরমার গুলোর বিষয়ে শুধু মাত্র বিএমডিএর অফিসে অভিহিত করেই দায় সেরেছেন অপরেটরেরা। ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ বা জিডি করেননি।
বাধাইড় মৌজার গভীর নলকূপের অপারেটর রজব আলী বলেন, এবার চলতি মৌসুমে বৃষ্টির পানিতেই কৃষকেরা আমন চাষাবাদ করেছেন। সেচের সে রকম প্রয়োজন পড়েনি। কৃষকেরা মাঠে যান না। এ সুযোগে গভীর রাতে চোরের দল তার নলকুপের তিনটি ট্রেন্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায়। পরের দিন সকালে খবর পেয়ে বিএনডিএ তানোর জোনাল অফিসকে চুরি বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, বিএমডিএ গভীর নলকূপ অপরেটর গুলো বোরো মৌসুমে কৃষকের কাছে থেকে ইচ্ছামত সেচ চার্জ আদায় করে থাকেন। অথচ অন মৌসুমে তারা আর নলকুপের বিষয়ে ট্রান্সফরমার খোজ রাখেন না। এতে রাতে মাঠের মধ্যে থাকায় খুব সহজে চোরে চুরি করে নিয়ে যায়। আর চুরি হওয়ার পরে নলকূপ অপরেটর ও বিএনডিএ কর্তৃপক্ষ কোন ভাবে দান নেন না। এগুলো পুনোরাই কেনে আনতে ইসকিমের কৃষকদের কাছে থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা হয়।
বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, চারটি গভীর নলকূপের ১২ ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়ে অপারেটর মোখিকভাবে তাদের বলেছে। তাদেরকে থানায় জিডি করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একটি গভীর নলকূপের সবকিছু দেখার দায়িত্ব অপারেটরের। অনসিজনে সেচ নেওয়ার কেউ থাকে না। এ সুযোগে চোরের দল এগুলোকে চুরি করে অন্য জায়গায় বিক্রি করে। অপরেটরদের আগেই সর্তক করা হয়েছিল। প্রতিটি গভীর নলকূপের অপরেটদের কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ট্রান্সফরমাগুলো যোগানোর জন্য বলা হয়েছিল। তবুও পুনরায় কৃষকদের সচেতন করতে ও ট্রান্সফরমার চুরি ঠেকাতে এলাকায় মাইকিং করা হবে।
