নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাদিম সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রতিবাদ করেছে ইউনিয়েনের জনসাধারন। জানা যায়, উপজেলার মৈশারটেক গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মো: উজ্জামান রবিন বাদি হয়ে বিজ্ঞ আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। শিবপুর সি আর মামলা নং-৫১২/২০২০তাং ০৪/১০/২০২০ । উক্ত মাললায় ১। নাদিম সরকার, ২। শাহিন সরকার, ৩। বাদশা মিয়া, ৪। মোবারক, ৫। সোহেল ও লোকমানকে আসামী করে একটি চাঁদাবাজি মামলা করে।
এরই প্রতিবাদে ইউনিয়নের জনসাধারণ ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করেছেন। সহস্ত্রাধিক লোক এসময় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপস্থিত রজব আলী বলেন, নাদিম সরকার নরসিংদীর সর্বকনিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান, ওনার বাবা , দাদা ও ছিল চেয়ারম্যান। কিছু হিংসুটে মানুষ চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্নে নাদিম চেয়ারম্যানের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে রবিনকে ব্যবহার করে একটি মামলা করাইছে। মামলায় যে স্থানটিতে গরু মোটা তাজাকরণ খামার উল্লেখ করেছে সেখানে কোন গরুর খামার নেই এবং চাঁদা দাবির বিষয়টিও মিথ্যা।
সাবেক ইউপি সদস্য আ: আউয়াল বলেন, এটি একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলা। নাদিম চেয়ারম্যান ও রবিন যার যার অবস্থানে ভোগ দখল করিয়া আসতেছে। স্থানীয় ইব্রাহিম বলেন, চাঁদাদাবি এবং গরুর খামার কোনটাই সঠিক নয়।
ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম সরকার বলেন, আমি আদালতকে সম্মান দিয়ে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসেছি। আমার প্রতিপক্ষ রবিন এর লেয়ার পোল্ট্রি ফার্মের বর্জ্য ফেলার কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ২০ বিঘা জমিতে কৃষি আবাদ হচ্ছে না। রবিনের ফার্মের নামে ট্রেড লাইসেন্স না দেয়ায় সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। প্রশাসনের নিকট আমার দাবি মামলাটি পুন: তদন্ত করে ব্যবস্থ্য গ্রহণ করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
মামলার ৩নং সাক্ষী মানিকের ভাই রিপন বলেন, আমার ছোট ভাই মানিক রবিনের জমিতে ফসল করে খায় এবং গরুকে ঘাষ খাওয়ায়, চাঁদাদাবি, গরুর খামার এ গুলো মিছা কথা।
স্থানীয় নিজাম উদ্দিন বলেন, আমি নাদিমের নিকট জমি বিক্রি করছি, যে ভাবে মালিক হয়ে, অন্য একজন ব্যক্তি তেমনি মালিক হয়ে রবিনের নিকট জমি বিক্রি করছে। প্রত্যেকে যার যার জায়গায় দখলে আছে। সেখানে মিছা কথা কইয়া মামলার কোন দরকার আছে?’
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, কোন এক পুলিশ কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয় দেয় রবিন। তাই অন্যের প্ররোচনায় পড়ে চেয়ারম্যানের ইমেজ নষ্ট করার জন্য রবিন এ মামলাটি করেছে।
বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান চান স্থানীয় ইউনিয়নবাসী।