কবির আল মাহমুদ, স্পেন সংবাদদাতা: স্পেনে বাংলাদেশের নরসিংদীর প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেনের ৯ম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১নভেম্বর) রাতে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের একটি রেস্টুরেন্টে স্পেন প্রবাসীদের উদ্যোগে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নরসিংদী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইন স্পেনের সভাপতি আল আমিন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সভাপতি কাজী এনায়েতুল করিম তারেক।
নরসিংদী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইন স্পেনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন ও ইয়াছিন সিকদারের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নরসিংদী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইন স্পেনের সিনিয়র সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান খান খলিল, কমিউনিটি নেতা আব্দুল কায়ূম মাসুক,জালাল উদ্দিন,দবির তালুকদার, এমদাদ হোসেন, নরসিংদী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইন স্পেনের সহ-সভাপতি বাদল মিয়া, দেলোয়ার পাঠান, তামীম ইকবাল, সায়েদ আনোয়ার, এস বি হিমেল, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন, আনিছুর কবির মিশু, সজল আহমেদ, শিবলু মিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংঘঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় উপস্থিত অতিথিগণ ও প্রবাসী নরসিংদী সকলেই প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেনের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে, নরসিংদী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইন স্পেনের সভাপতি আল আমিন মিয়া বলেন, প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেন নরসিংদীর সিংহপুরুষ ছিলেন।তিনি নরসিংদীর জনগনের নেতা ছিলেন। তিনি নান্দনিক পৌরসভার রুপকার ছিলেন। কুচক্রি মহলের ষড়যন্ত্রে তিনি নির্মমভাবে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন। মেয়র লোকমান হোসেনকে হত্যা করলেও তার আদর্শকে হত্যা করা যাবে না। কারন জীবিত লোকমানের চেয়ে মৃত লোকমান অনেক বেশি শক্তিশালী। তাছাড়া লোকমান হত্যার বিচারের দাবী নরসিংদী প্রতিটি মানুষের। তাই দ্রুত খুনিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ২০১১ সালের ১ নভেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে শাহাদাৎ বরণকারী প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেনের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন নরসিংদী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইন স্পেনের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফিজ আক্তার হোসেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১ নভেম্বর পৌর মেয়র লোকমান হোসেনকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।ওই ঘটনায় নিহতের ভাই কামরুজ্জামান ১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।দীর্ঘ ৯ বছরেও এ হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যকর হয়নি।