নরসিংদীর রায়পুরায় কান্দাপাড়া শহীদ বশিরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর সীমানার ভিতরে প্রবেশ করে দেয়াল নির্মাণসহ বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করার অভিযোগ উঠেছে পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। সভাপতি প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তা। বিদ্যালয়টি মুক্তিযুদ্ধে নিহত তাঁর ছোট ভাই শহীদ বশিরুল ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত।
এর আগে বিদ্যালয়ের নির্মিত আউটডোর লার্নিং গ্যালারি ভাঙার অভিযোগও রয়েছে।
জানা যায়, ২০১৪ সালে বুয়েটের শিক্ষার্থী মাতলুবা খান মিশু বিদেশি অর্থায়নে উপজেলার দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আউটডোর লার্নিং গ্যালারি নির্মাণ করেন। বিদ্যালয় দুটি হলো তুলাতুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কান্দাপাড়া শহীদ বশিরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আউটডোর লার্নিং গ্যালারির মূল লক্ষ্য ছিল শিশুদের শ্রেণিকক্ষের একঘেয়েমি কাটিয়ে বাইরের উন্মুক্ত পরিবেশে পাঠদান দেওয়া। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে শহীদ বশিরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম স্থাপনাটি তাঁর পৈতৃক সম্পত্তির ওপর নির্মিত বলে দাবি করে তা ভেঙে ফেলেন। এবার তিনি বিদ্যালয়ের ভিতরে রুপনকৃত ৬/৭টি বড় গাছ কেটে নিয়ে গেছে।
এদিকে গাছ কেটে ফেলা ও স্থাপনাটি ভেঙে ফেলায় শিক্ষক ও এলাকারবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শহিদুল ইসলাম এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতেও সাহস পায় না।
রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কাউকে না জানিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বিদ্যালয়ের স্থাপনা ভাঙা ও গাছ কাটা হলে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’