স্বামী থাকেন বিদেশে, এ সুযোগ নিয়ে গৃহবধূকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন আজিজুল নামে এক যুবক। এ পরকীয়ায় অন্তঃসত্ত্বা হয় ওই গৃহবধূ। পরে গৃহবধূর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পেটের বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে লম্পট যুবক। পরে ওই গৃহবধূ শারীরিক অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয় সংসারে। এখন গৃহবধূ মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীর কাঠাঁলিয়া ইউনিয়নের মৈষাদী গ্রামে। এ ঘটনায় জড়িত আজিজুল ও তার মা’বাবাকে আসামি করে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করেন গৃহবধুর শ্বশুর শাজাহান খান। রবিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে গৃহবধূর স্বজনরা এ তথ্য জানান।
অভিযোগ সূত্রে যায়, প্রায় এক বছর আগে মৈশাদী গ্রামের ইসমাইল এর ছেলে আজিজুল খান (৩২) একই গ্রামের মালয়শিয়া প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরে বিবাহের প্রলোভন দেখাইয়া গত বছরের নভেম্বর মাসের ৫ তারিখ রাতে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে আজিজুল। ইহার পর হইতে সময় সুযোগমতো আজিজুল খান ওই গৃহবধূর সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এ সম্পর্কের কারণে গৃহবধু অন্তঃসত্ত্ব হয়ে যায়। পরে আজিজুল ওই গৃহবধূকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে। কিন্তু গৃহবধূর গর্ভপাত না হওয়ায় আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছে।
শ্বশুর শাজাহান খান জানান, ছেলে বিদেশে থাকেন এ সুযোগ নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে আজিজুল এ কান্ড ঘটিয়েছে। পুত্রবধূর শারীরিক অবস্থা ভালো না, এখন ঢাকায় হাসাপাতালে ভর্তি আছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাধবদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানান, অভিযোগের পর ওই গৃহবধূর সাথে কথা বলা হয়, গৃহবধূর ঠিকমত গর্ভপাত না হওয়ায়, পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে পচা দুর্গন্ধ হয়ে গেছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন নয়। এ ঘটনায় আজিজুল সহ তিন জনকে আসামি করে মামলা রুজু হয়। আসামিরা পলাতক রয়েছে,তাদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।