জানুয়ারির প্রথম দিকেই বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রোজেনিকা টিকা আমদানি করা হবে। অনেক আগেই টিকা আনতে সরকার চুক্তি করেছে। বিশ্বের অনেক দেশ বিলম্বে টিকা পেলেও শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও দ্রুত অর্থনৈতিক যোগান দেয়ায় বিশ্বের অনেক দেশের আগেই বাংলাদেশ টিকা পাবে।’
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালী বিসিপিএস ভবনে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বাংলাদেশকে কিছু টিকা দেবে। সময় মতো সেই টিকাগুলোও সরকার হাতে পেয়ে যাবে।’ এই টিকাগুলো থেকে ক্রমান্বয়ে দেশে প্রায় ২৭ ভাগ মানুষ টিকা পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অতীতে বেশ কয়েকবার দেশব্যাপী হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন পরিচালিত হওয়া সত্ত্বেও বিগত কয়েক বছরে দেশে হাম ও রুবেলা রোগের প্রকোপ ও আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণকল্পে এবং ২০২৩ সাল নাগাদ দেশ থেকে হাম-রুবেলা দূরীকরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের নিমিত্তে সরকার ১২ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২৪ জানুয়ারি সারা দেশে আরও একটি হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে যাচ্ছে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশব্যাপী ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা প্রদান করা হবে বলেও জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমএনসিঅ্যান্ডএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক, অধিদফতরের সাম্প্রতিক টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মওলা বকস চৌধুরী, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি তমু হজুমি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. ভুপিন্দর কাউল প্রমুখ।