আবারও ফাউলের শিকার হয়ে পা ভেঙে গেল ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের। রবিবার রাতে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে লিওঁর বিপক্ষে মাঠে নেমে ইনজুরিতে পড়েন এই তারকা। শেষ পর্যন্ত পায়ের গোড়ালি ভেঙে স্ট্রেচারে করে নেইমারকে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেছে লিওঁ এবং ফলশ্রুতিতে ১-০ গোলের জয়ও তুলে নিয়েছে তারা।
ম্যাচজুড়ে ৬ বার কঠিন ফাউলের মুখোমুখি হয়েছেন নেইমার। প্রতিবারই তাকে আটকাতে ইচ্ছাকৃতভাবে মারা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন ফাউল করা হলো, যাতে স্ট্রেচারে করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে নেইমারকে।
৯৬তম মিনিটে লিওঁ মিডফিল্ডার থিয়াগো মেন্ডেজ সর্বশেষ ফাউলটি করেন নেইমারকে। সঙ্গে সঙ্গেই পায়ের গোড়ালি ধরে মাঠে গড়াগড়ি দিতে শুরু করেন তিনি। দ্রুত পিএসজির মেডিক্যাল টিম মাঠে নেমে আসে এবং তারা স্ক্র্যাচে করে তাকে ড্রেসিং রুমে নিয়ে যায়।
রেফারি বিনোইত বাস্তেইন প্রথমে থিয়াগো মেন্ডেজকে হলুদ কার্ড দেখান। পরে মাঠের পাশে বসানো ভিএআর মনিটরে ফাউলের ধরন পর্যালোচনা করে তাকে লাল কার্ড দেখান।
নেইমারের গোড়ালিতে শেষ পর্যন্ত স্ক্যান করা হয়েছে। পিএসজি কোচ টমাচ টুখেল নেইমারের স্ক্যান রিপোর্টের অপেক্ষায়। তিনি বলেন, ‘এখনও কোনো কিছু জানি না। নেইমার রয়েছে ডাক্তারের কাছে। আমরা তার স্ক্যান রিপোর্টের অপেক্ষাতেই রয়েছি।’ তবে, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, গোড়ালিতে ভালোই চোট পেয়েছেন তিনি।
পিএসজি নিজেদের মাঠে প্রভাব বিস্তার করে খেললেও ৩৫তম মিনিটে গোল হজম করে বসে। লিওঁর হয়ে টিনো ক্যাডওয়্যার গোল করে এগিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত সেই গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিওঁ।
২০০৭ সালের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে এই প্রথম লিওঁর কাছে পরাজয় বরণ করলো পিএসজি। এই হারের ফলে বর্তমান চ্যাম্পিনরা পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে নেমে গেলো। ১৪ ম্যাচে পিএসজির পয়েন্ট ২৮। ২৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে লিলে। সমান সংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে লিওঁ রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।