নরসিংদীর শেখেরচর বাজারে ক্রেতার ছুরিকাঘাতে আহত মাংস বিক্রেতা বাচ্চু মিয়া (৫০) ওরফে বাচ্চু কসাই চারদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেছেন। আজ বিকাল ৪টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত শুক্রবার সকালে ক্রেতার হাতে ছুরিকাঘাতের শিকার হন বাচ্চু মিয়া। তার বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার শেখেরচরে। ঘটনার পরপর অভিযুক্ত ক্রেতাদের আটক করে গণধোলাই শেষে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে উপস্থিত জনতা।
আটককৃতরা হলো- চরমোনাই, বরিশাল জেলার আঃ হামিদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০) ও একই এলাকার আঃ আজিজ বেপারীর ছেলে মোঃ হাসান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে দুই ক্রেতা শেখেরচর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাচ্চু মিয়ার দোকানে মাংস কিনতে আসে। এসময় মাংসে হাড় দেয়া নিয়ে উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। একসময় তা হাতাহাতিতে পৌঁছালে ক্রেতা হাসান দোকানে থাকা ছুরি নিয়ে বাচ্চু মিয়াকে আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় উপস্থিত জনতা হাসান ও সাইফুলকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় বাচ্চু মিয়াকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় তার পরিবারসহ গোটা এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মাধবদী থানার ওসি (তদন্ত) জানান, ঘটনার পরপর উপস্থিত জনতা অভিযুক্তদের আটক করে তাদের কাছে সোপর্দ করে। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে নরসিংদী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।