নরসিংদীতে মাধবদী শাখা সোনালী ব্যাংক লিমিটেড থেকে কুয়েতপ্রবাসী স্বামীর পাঠানো টাকা তুলতে এসেছিলেন হালিমা নামে এক নারী গ্রাহক। পরে ক্যাশ কাউন্টারে ব্যাংক কর্মকর্তার কাছ থেকে ৫১ হাজার টাকা উত্তোলনও করেন তিনি। তবে ঠিকঠাক টাকাগুলো গুনতে পারছিলেন না। তখন কাউন্টারের সামনের চেয়ারে বসে তিনজন ব্যক্তি এসময় এক ব্যক্তি এগিয়ে আসেন। টাকাগুলো গুনেও দেন। এরপরই কৌশলে ওই টাকা নিয়ে চম্পট হয়ে যান ওই ব্যক্তি। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে এ প্রতারণার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় মাধবদী থানায় ছুটে যান ভুক্তভোগী হালিমা বেগম কিন্তু মাধবদী থানার পুলিশ সোনালী ব্যাংকের ওই শাখায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে ব্যাংকটির ওই শাখায় কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় প্রতারক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারছে না পুলিশ।
প্রতারণার শিকার ওই নারীর নাম হালিমা বেগম (৪০)। তিনি মাধবদীর খিদিরকান্দি গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী পরশ আলীর স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতারক ওই ব্যক্তির বয়স ৫০–এর কাছাকাছি। তাঁর গায়ের রং কালো এবং ঘটনার সময় মাথায় টুপি পরিহিত ছিলেন তিনি।
ভুক্তভোগী হালিমা বেগম নরসিংদী প্র বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য এই প্রথম টাকা পাঠিয়েছিলেন কুয়েতপ্রবাসী স্বামী। ওই টাকা তোলার জন্য সোনালী ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারে ৫১ হাজার টাকার চেক জমা দেন দিনি। টাকা হাতে পাওয়ার পর ওই টাকা গুনে দিতে এগিয়ে আসেন পাশে থাকা এক ব্যক্তি। কিন্তু আমার টাকা গুলো নিয়ে পালিয়ে গেল। এখন কি করবো মাথায় ধরছে না। করোনার এই সময়ে এরই মধ্যে অনেক টাকা ঋণ হয়ে আছি, এখন কীভাবে কী করব, কিছুই বুঝতে পারছি না।’
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর মাধবদী শাখার ব্যবস্থাপক নূরে আলম বলেন, প্রতারক ওই ব্যক্তি কৌশলে টাকাগুলো নিয়ে পালিয়েছেন। ব্যাংক–সংশ্লিষ্ট কাউকে যদি টাকাগুলো গুনে দিতে বলতেন, তাহলে এমন ঘটনা ঘটতে না। পুরো ঘটনাটি ওই নারীর বোকামির কারণে ঘটেছে।
ব্যাংকটিতে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকা প্রসঙ্গে নূরে আলম নরসিংদী প্রতিদিনকে বলেন, সোনালী ব্যাংক একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান। তাঁরা চাইলেই সিসিটিভি ক্যামেরা কিনে লাগাতে পারেন না। তবে যোগদানের পরপরই সিসিটিভি ক্যামেরার জন্য সদর দপ্তর বরাবর আবেদন দিয়েছেন।
মাধবদী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক রুবেল আহমেদ বলেন,থানায় এসে হালিমা বেগম নামের এক নারীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সোনালী ব্যাংকের সেই শাখায় যান। তবে ব্যাংকটির ওই শাখায় একটিও সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় পালিয়ে যাওয়া ওই প্রতারককে চিহ্নিত করা যায়নি।